কলকাতা, 8 জুলাই: অনুমতি ছাড়াই চোপড়ায় অত্যাচারের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ৷ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নামে অভিযোগ দায়ের করলেন চোপড়ার নির্যাতিতা মহিলা। আইটি আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে, যা নিয়ে ফের চর্চায় চোপড়াকাণ্ড । তবে এই এফআইআরকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক । সেলিমের দাবি, গুজরাত-উত্তরপ্রদেশের পুলিশ যে পদ্ধতি মেনে চলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাকেই অনুসরণ করছে রাজ্য পুলিশও ৷
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক এদিন অভিযোগ করে বলেন, "যে ছেলেটি ভিডিয়োটি করেছিল তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী ৷ পুলিশের সামনেই তাঁকে গ্রামছাড়া করা হয়েছে। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ এবং প্রশাসন এমনকী মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এরকম ঘটনা মানুষের কাছে পৌঁছতে দিতে নারাজ। ঠিক যেমন উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাতে এরকম ধরনের ঘটনা ঘটলে যে পদ্ধতিতে সেখানকার পুলিশ প্রশাসন পদক্ষেপ করে, সেই পদ্ধতিতেই রাজ্যের পুলিশ অনুসরণ করছে ।"
সপ্তাহখানেক আগে যুবক ও যুবতীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের মীমাংসা করতে সালিশি সভা ডাকা হয় চোপড়ার একটি গ্রামে ৷ সেখানে তাঁদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল বিধায়কের ঘনিষ্ঠ তাজেমুল হক ওরফে জেসিবি'র বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয় ৷ সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
এরপর গত 1 জুলাই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নামে চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা মহিলা । কারণ তাঁদের দুজনের উপর অত্যাচারের ভিডিয়ো টুইট করেছিলেন সেলিম ৷ সেই ভিডিয়ো কুড়ি লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখেন সোশাল মিডিয়ায়। অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনে ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, "এইভাবে আমাকে দমানো যাবে না । সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে । বিজেপি আরএসএস এবং তৃণমূল মিলে সমাজে জেসিবি ও শেখ শাহজাহানের মতো অপরাধীদের তৈরি করছে। অপরাধের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে ৷ তা করতে গিয়ে কুড়ি লক্ষ মানুষের কাছে ঘটনা পৌঁছে গেল। তৃণমূল-বিজেপি যখন নির্যাতিতদের কণ্ঠস্বর কেড়ে নিচ্ছে তখন তাদের পাশে সিপিএম আগেও দাঁড়িয়েছিল আগামীতেও দাঁড়াবে।" সেলিম ছাড়াও ভিডিয়ো শেয়ারের দায়ে অমিত মালব্যর বিরুদ্ধেও দায়ের হয়েছে অভিযোগ ৷