কলকাতা, 13 মার্চ: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবনে দু'দিন ধরে বৈঠক হয়েছে ৷ বুধবার আচার্য্য তথা রাজ্যপাল ও রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর তথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন এবং রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল বৈঠক করেন। প্রায় ঘণ্টাখানেকের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে এদিন বিকাল 4টা নাগাদ রাজভবন থেকে তাঁরা বেরিয়ে যান। যদিও কোনও পক্ষই কিছুই জানায়নি।
রাজভবন সূত্রে দাবি, স্থায়ী উপাচার্য না-থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক কী ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় এদিনের বৈঠকে তা জানতে চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সে বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে এই বৈঠকে । সেই রিপোর্ট আগামী 16 এপ্রিল উপাচার্য নিয়োগ মামলার পরবর্তী শুনানিতে শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হবে । এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করবেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকে ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে দু’জন উপস্থিত থাকবেন।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য এবং রাজ্যপালের সংঘাত চলছে দীর্ঘদিন। মামলা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে গড়িয়েছে। আপাতত, শীর্ষ আদালতের নির্দেশে পরপর বৈঠক চলছে । কারণ, একতরফা অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যেমন সংঘাত রয়েছে, তেমনি যাদবপুর, উত্তরবঙ্গ, ম্যাকাউট, বর্ধমান-সহ একাধিক বিশ্ব বিদ্যালয়ে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে ৷ সার্বিকভাবে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করতে বুধবার রাজভবনে বৈঠক হয়েছে ৷
এর আগে আদালতের নির্দেশে গত 24 জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন । রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সেই বৈঠক ভালোভাবে হয়েছে ৷ যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন সেই বৈঠক নিতান্তই সৌজন্যমূলক ৷ পরের দিন 25 জানুয়ারি রাজ্যপালকে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, "ভিসি নিয়োগে সরকার কোনওভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে না । উপাচার্য নিয়ে কিছু আইনি পরামর্শ দরকার আছে । বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে । সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ করেন আচার্য্য ৷ সরকারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও ভূমিকা নেই । এরপর আবার এ বিষয়েই আইনি পরামর্শদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন রাজ্যপাল ।
আরও পড়ুন: