নয়াদিল্লি, 31 অগস্ট: মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যে আইন দেশে রয়েছে, তা যথেষ্ট কঠোর ৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সেই আইন অক্ষরে অক্ষরে কার্যকর করতে হবে ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় চিঠির উত্তরে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণ দেবী রাজ্যের দিকেই আঙুল তুললেন ৷
দেশে মহিলাদের ধর্ষণ, হিংসার ঘটনা ক্রমবর্ধমান ৷ এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় আরও কঠোর আইনের দাবি তুলে শুক্রবার ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই চিঠির উত্তর এল এদিনই ৷
ধর্ষণ ও পকসো মামলার জন্য 11টি অতিরিক্ত ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট (FTSC) রয়েছে ৷ রাজ্য সরকার সেগুলি কাজে লাগাচ্ছে না, পালটা অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী ৷ তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে 88টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট (FTC) আছে ৷ সেগুলি ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্টের (FTSC) থেকে আলাদা ৷
এই কোর্টগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের অধীনে ৷ পশ্চিমবঙ্গে 48 হাজার 600টি ধর্ষণ এবং পকসো মামলা বিচারের অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে ৷ রাজ্য তাদের প্রয়োজনে 11টি অতিরিক্ত ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্টকে সচল করে কাজে লাগাতে পারে, কিন্তু তা করেনি ৷ পকসো ও ধর্ষণের মামলার বিচার করাই এই আদালতগুলির বিশেষত্ব ৷
... (2/2)
— Annapurna Devi (@Annapurna4BJP) August 30, 2024
माननीय प्रधानमंत्री श्री @narendramodi जी के नेतृत्व में यह सरकार महिला सुरक्षा के लिए प्रतिबद्ध है और भविष्य में भी इसे सुनिश्चित करने के लिए निरंतर प्रयासरत रहेगी।@MinistryWCD | @PMOIndia pic.twitter.com/osyi3mW5bJ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠিতে দেওয়া তথ্য ভুল ৷ তিনি লিখেছেন, "মনে হচ্ছে যেন ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্টকে যে রাজ্য কাজে লাগায়নি, সেই বিষয়টাই চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে ৷"
এই ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্টগুলিতে স্থায়ী বিচার বিভাগীয় আধিকারিকের নিয়োগ প্রয়োজন, চিঠিতে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জবাব, এই প্রকল্পের নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, একজন বিচার বিভাগীয় আধিকারিক এবং 7 জন কর্মী থাকবে ৷ তাঁরা শুধুমাত্র ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলাগুলির জন্য কাজ করবেন ৷ তাই কোনও স্থায়ী বিচার বিভাগীয় আধিকারিক অথবা আদালতের কর্মীদের উপর দায়িত্ব দেওয়ার দরকার নেই ৷ কেন্দ্রের এই অবস্থানের কথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আগেই জানানো হয়েছে ৷ কোর্টগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় কর্মী না-থাকলে, সেক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি বিচার চুক্তিভিত্তিক বিভাগীয় আধিকারিক এবং কর্মী নিয়োগ করতে পারে ৷
ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ ঠেকাতে কড়া আইন প্রসঙ্গে মন্ত্রীর বক্তব্য, "ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর খুনের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে কঠোর আইন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিষয়ে আমি আগের কথাই আবার বলব ৷ ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় যে আইন রয়েছে, তা যথেষ্ট কঠোর ৷"
তিনি আরও লেখেন, "রাজ্য সরকার যদি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রণয়ন করা আইনগুলি কথায় ও কাজে অক্ষরে অক্ষরে কার্য করে, তাহলে বিচার ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে ৷ দোষীরা কড়া শাস্তি পাবে ৷ নির্যাতিতাদের বিচার সুনিশ্চিত হবে ৷" অন্নপূর্ণ দেবী অনুরোধ করেন, যে পরিকাঠামো রয়েছে, তার সদর্থক ব্যবহার করে সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে ৷