সোদপুর, 2 অক্টোবর: আরজি কর হাসপাতালে নিহত মহিলা চিকিৎসকের ‘প্রতীকী মূর্তি’ উন্মোচিত হয়েছে । ঠিক সেসময়েই ফের নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে এলেন সিবিআই অফিসারেরা । মহালয়ার দুপুরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তিন সদস্য সোদপুরের নাটাগড়ে নির্যাতিতার বাড়িতে যান । ওই দলে সিবিআই’য়ের এক মহিলা আধিকারিকও ছিলেন । এদিন নির্যাতিতার বাড়িতে প্রবেশ করার পর বেশ কিছুক্ষণ নিহত চিকিৎসকের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা ।
সূত্রের খবর, ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে নির্যাতিতার বাবা একটি চিঠি লিখেছিলেন । শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ওই চিঠি গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি । সেই চিঠির বিষয়ে কথা বলতেই মহালয়ার দুপুরে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন তদন্তকারীরা । চিঠির সঙ্গে সংগৃহীত তথ্য এবং বয়ান মিলিয়ে দেখতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ।
প্রসঙ্গত,আরজি কর-কাণ্ডে তদন্তভার সিবিআই হাতে নেওয়ার পর নির্যাতিতার বাবা একটি চিঠি লেখেন । সূত্রের খবর, সেই চিঠিতে একাধিক বিষয়ের উল্লেখ করেছিলেন তিনি । সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও সেই চিঠি পড়ে মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘নির্যাতিতার বাবার লেখা চিঠিতে এমন কিছু বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে, যা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে ।’’ সেই চিঠির ভিত্তিতে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা । একাধিক ব্যক্তির বয়ানও রেকর্ড করা হয় । কিন্তু বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায় তদন্তকারীদের মনে । সেগুলি ফের যাচাই করতেই বুধবার নির্যাতিতার বাড়িতে যান সিবিআই অফিসারেরা । প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা বলার পর সেখান থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা ৷
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে নির্যাতিতার বাবা মন্তব্য করেন, যেভাবে সকলে এই আন্দোলনে তাঁদের পাশে রয়েছেন, বিচার পাবেন বলেই আশাবাদী । আগামী 15 অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে । সেদিন সিবিআইয়ের তরফে আদালতে কী স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করা হয়, সেদিকেই এখন তাকিয়ে সকলে ৷