কলকাতা, 21 অক্টোবর: আরজি কর-কাণ্ডে হাসপাতাল থেকে বাজেয়াপ্ত চারটি হার্ড ডিস্ক ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য ভিনরাজ্যে পাঠানো হল ৷ জানা গিয়েছে, সিবিআই আদালতের অনুমতি নিয়ে বাজেয়াপ্ত 4টি হার্ড ডিস্ক চণ্ডিগড়ে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক গবেষণাগারে পাঠিয়েছে ৷ সিবিআইয়ের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট হার্ড ডিস্কগুলি থেকে একাধিক তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে ৷
একইরকম ভাবে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের ফোন থেকে একাধিক তথ্য এবং হোয়াটসঅ্যাপ ডাটা মুছে ফেলা হয়েছিল ৷ উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা চলতি সপ্তাহে ফের আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যাবেন ৷ সেখানকার সার্ভার রুম আরও একবার খতিয়ে দেখবেন তাঁরা ৷
সিবিআই যে চারটি হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছে, সেগুলি থেকে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত বহু তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷ সেই সঙ্গে 9 অগস্ট রাতে আরজি করের চারতলার সেমিনার হল ও তার সংলগ্ন জায়গার সিসিটিভি-সহ একাধিক তথ্যও ডিলিট করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান সিবিআইয়ের ৷ সেই সব তথ্য পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ সেই কারণেই হার্ড ডিস্কগুলি চণ্ডিগড়ের ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে ৷
আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তদন্তকারীদের মতে, সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের নেতৃত্বেই সুকৌশলে আরজি কর হাসপাতালের সার্ভার রুমের চারটি হার্ড ডিস্ক থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে ৷
এই মুহূর্তে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দু’টি মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি ৷ তথ্যপ্রমাণ লোপাট ছাড়াও, সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা ও ইডি আরজি করের আর্থিক অনিয়ম, ওষুধ পাচার, মেডিক্যাল ওয়েস্ট দুর্নীতি-সহ অন্যান্য অভিযোগের তদন্ত করছে ৷ যে মামলায় ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ৷