কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডে সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায় শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় । ইতিমধ্যেই তাঁর সিঁথির মোড়ের কাছে নার্সিংহোমে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা । সিবিআই সূত্রে খবর, এই তৃণমূল বিধায়ক সন্দীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত । মূলত, কীভাবে হাসপাতালে দুর্নীতির সঙ্গে সুদীপ্ত রায় এবং তাঁর নার্সিংহোম যুক্ত রয়েছে, সেই বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা । এ দিকে একই দিনে সিবিআইয়ের পাশাপাশি আরজি কর দুর্নীতি-কাণ্ডে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরাও ।
2023 সালে আরজি কর হাসপাতালে মেডিক্যাল সামগ্রী অন্য জায়গায় পাচারের অভিযোগ তুলেছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি । ডেপুটি সুপারের দাবি অনুযায়ী, এই নিয়ে রাজ্য সরকারের একাধিক দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি । এমনকী মেডিক্যাল সামগ্রীর পাশাপাশি মর্গে রাখা দেহ পাচার করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন আখতার আলি ৷ তবে সেই সময় থেকে তদন্ত প্রক্রিয়া থমকে ছিল ।
ফের ঘটনার তদন্ত শুরু হয় চলতি বছরের 9 অগস্টের পর ৷ ওই দিন আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় সেখানকার চিকিৎসক ছাত্রীর দেহ । এই ঘটনায় ওই চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে ৷ প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় । তবে পরবর্তী সময়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার আসে সিবিআইয়ের হাতে ।
আরজি কর হাসপাতালে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে । চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে সমান্তরালভাবে আরজি করে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে সিবিআই । পরে এই ঘটনায় সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ আরজি কর দুর্নীতি-কাণ্ডে সিবিআইয়ের পাশাপাশি আর্থিক তছরুপের মামলায় তদন্তে নেমেছে ইডিও ।