কলকাতা, 24 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডে শহরের দু’প্রান্তে দুই চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের ৷ আজ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ফের প্রশ্ন করা হচ্ছে আরজি করের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে ৷ আজ দুপুরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে পৌঁছন তিনি ৷ জানা গিয়েছে, চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসই আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতা চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্ত করেছিলেন ৷
গত সপ্তাহে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ৷ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে তিনি দাবি করেন, মৃতার দেহের দ্রুত ময়নাতদন্ত করার জন্য তাঁকে বিভিন্নভাবে চাপ দেওয়া হয়েছিল ৷ মৃত চিকিৎসক পড়ুয়ার 'কাকা' পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি এই চাপ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি ৷ তাঁকে নাকি ওই 'কাকা' হুমকি দিয়েছিলেন ৷ ওই ব্যক্তি নাকি চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, "তাড়াতাড়ি ময়না তদন্ত না-হলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেব ৷"
আরজি করের চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসের পাশাপাশি, কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার চিকিৎসক সঞ্জয় বশিষ্ঠকে ৷ ইতিমধ্যে, তাঁর বয়ান রেকর্ড শুরু করেছে সিবিআই ৷ অন্যদিকে, আজ বিকেলে সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন আরজি করের বর্তমান এমএসভিপি সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় ৷ তাঁর সঙ্গে দুই মহিলা পিজিটি চিকিৎসক ছিলেন ৷ তাঁরাও সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে যান ৷ জানা গিয়েছে, 2021 সালের আরজি করের কিছু টেন্ডার সংক্রান্ত নথি নিয়ে তিনি সিবিআই দফতরে গিয়েছেন ৷
গত 9 অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ ৷ পরে জানা যায়, আরজি করের পিজিটি চিকিৎসককে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে ৷ এরপরেই গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় ৷ শুরু থেকেই এই মামলার তদন্তে একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে লালবাজারের বিরুদ্ধে ৷ এমনকি এফআইআর দায়ের, ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া নিয়েও একাধিক গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে ৷ ভয় দেখিয়ে নির্যাতিতা চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ তড়িঘড়ি দাহ করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে পানিহাটির বিধায়কের বিরুদ্ধে ৷