কলকাতা, 6 মার্চ: সন্দেশখালি বেতাজ বাদশা হিসেবে পরিচিত শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে যাতে আর কোনও আইনি জটিলতার মধ্যে পড়তে না হয়, তার জন্য দিল্লিতে এ বার লিগাল সেলের থেকে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে সিবিআই । নিজাম প্যালেসে সূত্রের খবর, আজ বেলা 11টা থেকেই দিল্লির লিগাল সেলের আধিকারিকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলছেন সিবিআই আধিকারিকরা ।
গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো শেখ শাহাজাহানকে সিআইডি-র হাত থেকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য সিবিআইয়ের মোট ছয় জন আধিকারিক ভবানী ভবনে যান । সেখানে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত সিআইডি আধিকারিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা । তবে বিষয়টি বিচারাধীন বলে দেখিয়ে শেখ শাহাজাহানকে গতকাল আর সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়নি সিআইডি । ফলে গতকাল সন্ধের পর খালি হাতে ফিরতে হয় সিবিআই আধিকারিকদের ।
এরই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে হাইকোর্টের আপিল করে বলা হয়েছে যে, স্রেফ সময় নষ্ট হচ্ছে । যদিও এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য ৷ দ্রুত সেই মামলার শুনানিরও আর্জি জানানো হয় ৷ আর এই মামলা বিচারাধীন বলে যুক্তি দেখিয়ে মঙ্গলবার শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে ছাড়া হয়নি ।
তবে বুধবার রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট । এ ক্ষেত্রে রাজ্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাতে পারে বলে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে ৷ ফলে আপাতত শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকল না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার । তবুও সিবিআই আধিকারিকরা মনে করছেন, বিভিন্ন আইনি জটিলতা দেখিয়ে শেখ শাহজাহানকে তাদের হাতে নাও দিতে পারে রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ । এছাড়াও পরবর্তীকালে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে তাদের কী পরিকল্পনা হবে, তা নিয়েও আজ লিগাল সেলের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও ভবানী ভবনে রয়েছেন শেখ শাহজাহান । তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এখনও পর্যন্ত সিআইডি আধিকারিকরা যে সব তথ্য পেয়েছেন, সেই সব তথ্য-সহ কেস ডায়েরির যাবতীয় তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে । সিবিআই সূত্রের খবর, দিল্লি লিগাল সেলের সঙ্গে এই বৈঠকের পর তারা এ বিষয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন । বর্তমানে এই ঘটনার যাবতীয় তদন্ত এসেছে সিবিআইয়ের হাতে । এই ঘটনায় পুলিশ ও সিআইডি কীভাবে তদন্ত শুরু করেছিল, তার তথ্যও হাতে পেতে চাইছে সিবিআই ।
আরও পড়ুন: