কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর: আরজি করের তরুণী পড়ুয়া-চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনে নয়া মোড় ৷ শনিবার রাতে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হলেন হাসপাতালেরই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ৷ এছাড়া টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করল সিবিআই ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অনেক দেরিতে এফআইআর করা হয়েছে ৷ তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার অভিযোগও উঠেছে ৷
এর আগে ঘটনার 24 ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ ৷ এই পর্যন্ত আরজি করের পড়ুয়া চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মোট 3 জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই ৷ আগামিকাল, রবিবার তাঁদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চাইবে সিবিআই ৷
গত 9 অগস্ট সকালে আরজি কর হাসপাতালের চার তলার সেমিনার হলে এক তরুণী পড়ুয়া-চিকিৎসকের বস্ত্রহীন দেহ উদ্ধার হয় ৷ ওই চিকিৎসক আরজি করের স্নাতকোত্তর স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন ৷ পরে জানা যায়, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় ৷ প্রথম দিকে এর তদন্ত করছিল পুলিশ ৷ ঘটনার 24 ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ৷
পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এর তদন্তভার বর্তায় সিবিআই-এর উপর ৷ ইতিমধ্যে আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষে ৷ এখন তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে ৷ এবার সেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেই আরজি করের নির্যাতিতার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করল সিবিআই ৷
আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক তরুণীর ঘটনায় কেন তড়িঘড়ি এফআইআর করা হল না ? কেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের প্রথমেই খবর দেওয়া হল না ? তথ্য প্রমাণ কেন লোপাট হল ? এইরকম একাধিক অভিযোগে এদিন দীর্ঘ জেরার পর ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ তাঁকে মোট 8 বার জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷
সম্প্রতি 5 সেপ্টেম্বর একাধিক হাসপাতাল ঘুরে শেষে পাঁচ নম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ৷ তিনি বুকে অস্বস্তি অনুভব করছিলেন ৷ তারপরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালে ৷ কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে চায়নি হাসপাতালগুলি ৷ এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিউ আলিপুরের একাধিক হাসপাতালে ৷ সেখানে একটি হাসপাতাল তাঁকে ভর্তি করতে চায়নি ৷ শেষে একবালপুরের একটি হাসপাতালে টালা থানার ওসিকে ভর্তি নেয় ৷