কলকাতা, 21 অগস্ট: আজ সন্দীপ ঘোষকে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের ষষ্ঠদিন ৷ বুধবার সকাল 9টা 15 মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে গিয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ৷ অন্যদিকে, আজই লালবাজারের তরফে সন্দীপ ঘোষকে ডেকে পাঠানো হয়েছে ৷ আরজি করের মৃত নির্যাতিতার নাম ও ছবি প্রকাশ করার অভিযোগে এই তলব বলে জানা গিয়েছে ৷
তবে, সন্দীপ ঘোষ লালবাজারে যাবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয় ৷ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে আজ দুপুর 12টার মধ্যে লালবাজারে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু, তিনি ইতিমধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে গিয়েছেন ষষ্ঠদিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৷ সেখানে আজও তাঁর দিকে সিবিআইয়ের প্রশ্নবাণ ধেয়ে আসবে, তা স্পষ্ট ৷ বিশেষত, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছে, 22 অগস্ট বৃহস্পতিবার তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করতে ৷
সেক্ষেত্রে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে সিবিআইয়ের হাতে আজকের দিনটাই রয়েছে ৷ ফলে সিবিআইয়ের তদন্তকারী সিট আজ সন্দীপ ঘোষকে লালবাজারে হাজিরা দিতে যাওয়ার জন্য ছাড়বে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ৷ লালবাজারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ৷ ঘটনার দিন অর্থাৎ, 9 অগস্ট যখন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মৃত নির্যাতিতা চিকিৎসকের নামপ্রকাশের অভিযোগ ওঠে, তখন কেন ব্যবস্থা নেননি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দার ? মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে এত তৎপরতা কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের ?
সন্দীপ ঘোষ একজন চিকিৎসক এবং আরজি করের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন ৷ এমন দায়িত্বশীল পদে থেকেও কীভাবে ধর্ষণ ও খুনের মতো ঘটনায় নির্যাতিতার নাম ও ছবি প্রকাশ করলেন ? এমনই নানান প্রশ্ন তাঁকে করতে পারেন লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷ তবে, শুধু সন্দীপ ঘোষ নন ৷ গত সোমবার চিকিৎসক কুণাল সরকার এবং চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে লালবাজারে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ ৷ তাঁদের বিরুদ্ধেও আরজি করের মৃত চিকিৎসকের পরিচয় প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে ৷