ETV Bharat / state

নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত এসএসসি-র প্রাক্তন পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য অনুমতি কে দেবেন, জট কাটল না হাইকোর্টে - Calcutta High Court

Calcutta High Court: এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন সেক্রেটারির বিরুদ্ধে বিচারের জন্য অনুমতি কে দেবেন, সেই জট মঙ্গলবারও কাটল না । এই নিয়ে মুখ্যসচিবের মতামত জানতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ ৷

Calcutta High Court
কলকাতা হাইকোর্ট (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 7, 2024, 8:23 PM IST

কলকাতা , 7 মে: স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন সেক্রেটারির বিরুদ্ধে বিচারের জন্য অনুমতি কে দেবেন, সেই জট কাটল না মঙ্গলবারও । তাই ফের রাজ্যের মুখ্যসচিবের মতামত চাইল কলকাতা হাইকোর্ট । 11 জুন পরবর্তী শুনানিতে রাজ্যের বক্তব্য জানতে চায় হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ ।

সিবিআইয়ের আইনজীবী এ দিন জানান, আইনে যেটুকু তাঁদের বোধগম্য হয়েছে, তাতে মুখ্যসচিবের কাছে তাঁরা আবেদন করবেন । সেই আবেদন সেখান থেকে রাজ্যপালের কাছে যাবে । কারণ, চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি নিয়োগ করে বিশেষ কমিটি । আর পর্ণা বোসের মতো অফিসারদের নিয়োগ করে সরকার । ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে বিভাগীয় সচিব বা মুখ্যসচিব অনুমোদন দিতে পারেন ।

বিচারপতি বাগচী রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে জানতে চান, "মুখ্যসচিব রাজ্যপালকে সুপারিশ করতে পারে ?" আদালতের জানতে চায়, মুখ্যসচিবকে জানাতে হবে তিনি এঁদের অনুমোদন দিতে পারেন কি না ? না কি অন্য কোনও কর্তৃপক্ষ ? সেক্ষেত্রে অন্য কোন কর্তৃপক্ষ ? আইন ঠিক কী বলছে ? এটা রাজ্যের থেকে আসা দরকার । রাজ্যপাল কি অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা মুখ্যসচিবকে দিয়ে রেখেছেন ? কোনও ডিএসপি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারের ক্ষেত্রে কী হবে ? হোম সেক্রেটারি দেবেন, নাকি রাজ্যপালের কাছে যাবে অনুমোদনের জন্য ?

নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর সিবিআইয়ের মামলায় জামিনের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা-সহ একাধিক ব্যক্তি ৷ সেই মামলায় একাধিকবার রাজ্যের মুখ্যসচিবের অনুমোদন চেয়েছে হাইকোর্ট । না দেওয়ায় তাঁর ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী । ওই পদে থাকা ব্যক্তির রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে কটাক্ষ করেন বিচারপতি ।

কারণ, 2022 সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিবিআই এদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে বিচারপর্ব শুরু করার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবের অনুমতি চাইলেও তিনি টালবাহানা করে তা দেননি । এখন লোকসভা নির্বাচনের পরিস্থিতিতে তিনি ব্যস্ত বলে একাধিকবার সময় চেয়েছেন হাইকোর্টের কাছে । তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বিচারপতি বাগচী ।

আরও পড়ুন:

  1. নিয়োগ দুর্নীতি মামলা, মুখ্যসচিবের ভূমিকায় অবাক হাইকোর্ট
  2. সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন কবে? মুখ্যসচিবকে জানানোর শেষ সুযোগ দিল হাইকোর্ট
  3. এসএসসি মামলায় হাইকোর্টের রায়ে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ, এখনই চাকরি যাচ্ছে না কারও

কলকাতা , 7 মে: স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন সেক্রেটারির বিরুদ্ধে বিচারের জন্য অনুমতি কে দেবেন, সেই জট কাটল না মঙ্গলবারও । তাই ফের রাজ্যের মুখ্যসচিবের মতামত চাইল কলকাতা হাইকোর্ট । 11 জুন পরবর্তী শুনানিতে রাজ্যের বক্তব্য জানতে চায় হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ ।

সিবিআইয়ের আইনজীবী এ দিন জানান, আইনে যেটুকু তাঁদের বোধগম্য হয়েছে, তাতে মুখ্যসচিবের কাছে তাঁরা আবেদন করবেন । সেই আবেদন সেখান থেকে রাজ্যপালের কাছে যাবে । কারণ, চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি নিয়োগ করে বিশেষ কমিটি । আর পর্ণা বোসের মতো অফিসারদের নিয়োগ করে সরকার । ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে বিভাগীয় সচিব বা মুখ্যসচিব অনুমোদন দিতে পারেন ।

বিচারপতি বাগচী রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে জানতে চান, "মুখ্যসচিব রাজ্যপালকে সুপারিশ করতে পারে ?" আদালতের জানতে চায়, মুখ্যসচিবকে জানাতে হবে তিনি এঁদের অনুমোদন দিতে পারেন কি না ? না কি অন্য কোনও কর্তৃপক্ষ ? সেক্ষেত্রে অন্য কোন কর্তৃপক্ষ ? আইন ঠিক কী বলছে ? এটা রাজ্যের থেকে আসা দরকার । রাজ্যপাল কি অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা মুখ্যসচিবকে দিয়ে রেখেছেন ? কোনও ডিএসপি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারের ক্ষেত্রে কী হবে ? হোম সেক্রেটারি দেবেন, নাকি রাজ্যপালের কাছে যাবে অনুমোদনের জন্য ?

নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর সিবিআইয়ের মামলায় জামিনের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা-সহ একাধিক ব্যক্তি ৷ সেই মামলায় একাধিকবার রাজ্যের মুখ্যসচিবের অনুমোদন চেয়েছে হাইকোর্ট । না দেওয়ায় তাঁর ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী । ওই পদে থাকা ব্যক্তির রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে কটাক্ষ করেন বিচারপতি ।

কারণ, 2022 সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিবিআই এদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে বিচারপর্ব শুরু করার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবের অনুমতি চাইলেও তিনি টালবাহানা করে তা দেননি । এখন লোকসভা নির্বাচনের পরিস্থিতিতে তিনি ব্যস্ত বলে একাধিকবার সময় চেয়েছেন হাইকোর্টের কাছে । তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বিচারপতি বাগচী ।

আরও পড়ুন:

  1. নিয়োগ দুর্নীতি মামলা, মুখ্যসচিবের ভূমিকায় অবাক হাইকোর্ট
  2. সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন কবে? মুখ্যসচিবকে জানানোর শেষ সুযোগ দিল হাইকোর্ট
  3. এসএসসি মামলায় হাইকোর্টের রায়ে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ, এখনই চাকরি যাচ্ছে না কারও
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.