কলকাতা , 7 মে: স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন সেক্রেটারির বিরুদ্ধে বিচারের জন্য অনুমতি কে দেবেন, সেই জট কাটল না মঙ্গলবারও । তাই ফের রাজ্যের মুখ্যসচিবের মতামত চাইল কলকাতা হাইকোর্ট । 11 জুন পরবর্তী শুনানিতে রাজ্যের বক্তব্য জানতে চায় হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ ।
সিবিআইয়ের আইনজীবী এ দিন জানান, আইনে যেটুকু তাঁদের বোধগম্য হয়েছে, তাতে মুখ্যসচিবের কাছে তাঁরা আবেদন করবেন । সেই আবেদন সেখান থেকে রাজ্যপালের কাছে যাবে । কারণ, চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি নিয়োগ করে বিশেষ কমিটি । আর পর্ণা বোসের মতো অফিসারদের নিয়োগ করে সরকার । ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে বিভাগীয় সচিব বা মুখ্যসচিব অনুমোদন দিতে পারেন ।
বিচারপতি বাগচী রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে জানতে চান, "মুখ্যসচিব রাজ্যপালকে সুপারিশ করতে পারে ?" আদালতের জানতে চায়, মুখ্যসচিবকে জানাতে হবে তিনি এঁদের অনুমোদন দিতে পারেন কি না ? না কি অন্য কোনও কর্তৃপক্ষ ? সেক্ষেত্রে অন্য কোন কর্তৃপক্ষ ? আইন ঠিক কী বলছে ? এটা রাজ্যের থেকে আসা দরকার । রাজ্যপাল কি অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা মুখ্যসচিবকে দিয়ে রেখেছেন ? কোনও ডিএসপি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারের ক্ষেত্রে কী হবে ? হোম সেক্রেটারি দেবেন, নাকি রাজ্যপালের কাছে যাবে অনুমোদনের জন্য ?
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর সিবিআইয়ের মামলায় জামিনের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা-সহ একাধিক ব্যক্তি ৷ সেই মামলায় একাধিকবার রাজ্যের মুখ্যসচিবের অনুমোদন চেয়েছে হাইকোর্ট । না দেওয়ায় তাঁর ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী । ওই পদে থাকা ব্যক্তির রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে কটাক্ষ করেন বিচারপতি ।
কারণ, 2022 সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিবিআই এদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে বিচারপর্ব শুরু করার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবের অনুমতি চাইলেও তিনি টালবাহানা করে তা দেননি । এখন লোকসভা নির্বাচনের পরিস্থিতিতে তিনি ব্যস্ত বলে একাধিকবার সময় চেয়েছেন হাইকোর্টের কাছে । তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বিচারপতি বাগচী ।
আরও পড়ুন: