ETV Bharat / state

আলুওয়ালিয়ার সামনেই হাতাহাতিতে জড়ালেন বিজেপি কর্মীরা, ধেয়ে এল চেয়ারও - Lok Sabha Election 2024 - LOK SABHA ELECTION 2024

Surinderjeet Singh Ahluwalia: বিজেপির কর্মী সম্মেলন শুরু হতেই ব্যাপক অশান্তি শুরু হয়ে যায় বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া সম্মেলন কক্ষে ঢুকতেই বিজেপি কর্মীরা প্রথমে বচসা এবং পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 18, 2024, 4:49 PM IST

ধেয়ে এল চেয়ারও

বারাবনি, 18 এপ্রিল: বিজেপির কর্মী সম্মেলনে কর্মী সমর্থকদের নিজেদের মধ্যে অশান্তি, হাতাহাতিতে ব্যপক উত্তেজনা ছড়াল। খোদ বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হতেই এই অশান্তি শুরু হয় বলে দাবি। ঘটনার সময় জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে জেলার সব নেতারাই উপস্থিত ছিলেন। বারাবনির দোমোহানির বড়বাথান এলাকার ঘটনা। সাংবাদিকরা এই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে তাদের হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ।

শুক্রবার বারাবনি ব্লকে বিজেপির একটি কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বারাবনির বড়বাথান এলাকায় একটি অনুষ্ঠানগৃহে এই কর্মী সম্মেলন ছিল। উপস্থিত ছিলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুয়ালিয়া, আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় সহ জেলার অন্যান্য বিজেপি নেতারা। কিন্তু এদিন কর্মী সম্মেলন শুরু হতেই ব্যাপক অশান্তি শুরু হয়ে যায় বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া সম্মেলন কক্ষে ঢুকতেই বিজেপি কর্মীরা প্রথমে বচসা এবং পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে ৷

এমনকী টেবিল-চেয়ার পর্যন্ত ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। কী কারণে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে দীর্ঘক্ষণ ধরে এই অশান্তি চলতে থাকে। সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। মনোজ শর্মা নামে এক সাংবাদিককে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর মোবাইল পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়। পরে বিজেপির জেলার নেতারা উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণ করে। নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে সম্মেলন শুরু হয় এবং সম্মেলন চলাকালীন মাঝেমধ্যেই সম্মেলন কক্ষের ভেতর থেকে চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ পাওয়া গিয়েছে। যদিও সাংবাদিকদের জন্য সম্মেলন কক্ষের দ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সম্মেলনের শেষে বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বলেন, "কোনও অশান্তি বা মারামারি হয়নি। মানুষজনের উৎসাহ বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণে যতজনের চেয়ার রাখা ছিল তার থেকে বেশি মানুষ চলে এসেছিলেন। চেয়ার নিয়ে একটু টানাটানি হয়েছে। আর পরিবারে বাসনপত্র আশেপাশে রাখা থাকলে ঠোকাঠুকি হবে। সেটা কোনও গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব নয়।" সাংবাদিকদের উপরে হেনস্থার কথা জানতে পেরে আলুওয়ালিয়া নিজে বিজেপির পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে, সাংবাদিকদের হেনস্থা করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন আসানসোলের মেয়র তথা বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। তিনি বলেন, "বিজেপি সব জায়গাতেই এরকম নিজেদের মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি করে। মানুষজনকে ভয় দেখাচ্ছে। এভাবেই তারা বাংলার দখল নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদিও মানুষ সব বুঝতে পারছে।"

আরও পড়ুন

ভোটের দিন এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না মন্ত্রী উদয়ন, কড়া নির্দেশ কমিশনের

মিঠুন বড় গদ্দার, ছেলেকে বাঁচাতে আরএসএস অফিসে মাথা নিচু করেছে: মমতা

ধেয়ে এল চেয়ারও

বারাবনি, 18 এপ্রিল: বিজেপির কর্মী সম্মেলনে কর্মী সমর্থকদের নিজেদের মধ্যে অশান্তি, হাতাহাতিতে ব্যপক উত্তেজনা ছড়াল। খোদ বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হতেই এই অশান্তি শুরু হয় বলে দাবি। ঘটনার সময় জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে জেলার সব নেতারাই উপস্থিত ছিলেন। বারাবনির দোমোহানির বড়বাথান এলাকার ঘটনা। সাংবাদিকরা এই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে তাদের হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ।

শুক্রবার বারাবনি ব্লকে বিজেপির একটি কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বারাবনির বড়বাথান এলাকায় একটি অনুষ্ঠানগৃহে এই কর্মী সম্মেলন ছিল। উপস্থিত ছিলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুয়ালিয়া, আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় সহ জেলার অন্যান্য বিজেপি নেতারা। কিন্তু এদিন কর্মী সম্মেলন শুরু হতেই ব্যাপক অশান্তি শুরু হয়ে যায় বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া সম্মেলন কক্ষে ঢুকতেই বিজেপি কর্মীরা প্রথমে বচসা এবং পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে ৷

এমনকী টেবিল-চেয়ার পর্যন্ত ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। কী কারণে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে দীর্ঘক্ষণ ধরে এই অশান্তি চলতে থাকে। সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। মনোজ শর্মা নামে এক সাংবাদিককে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর মোবাইল পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়। পরে বিজেপির জেলার নেতারা উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণ করে। নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে সম্মেলন শুরু হয় এবং সম্মেলন চলাকালীন মাঝেমধ্যেই সম্মেলন কক্ষের ভেতর থেকে চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ পাওয়া গিয়েছে। যদিও সাংবাদিকদের জন্য সম্মেলন কক্ষের দ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সম্মেলনের শেষে বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বলেন, "কোনও অশান্তি বা মারামারি হয়নি। মানুষজনের উৎসাহ বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণে যতজনের চেয়ার রাখা ছিল তার থেকে বেশি মানুষ চলে এসেছিলেন। চেয়ার নিয়ে একটু টানাটানি হয়েছে। আর পরিবারে বাসনপত্র আশেপাশে রাখা থাকলে ঠোকাঠুকি হবে। সেটা কোনও গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব নয়।" সাংবাদিকদের উপরে হেনস্থার কথা জানতে পেরে আলুওয়ালিয়া নিজে বিজেপির পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে, সাংবাদিকদের হেনস্থা করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন আসানসোলের মেয়র তথা বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। তিনি বলেন, "বিজেপি সব জায়গাতেই এরকম নিজেদের মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি করে। মানুষজনকে ভয় দেখাচ্ছে। এভাবেই তারা বাংলার দখল নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদিও মানুষ সব বুঝতে পারছে।"

আরও পড়ুন

ভোটের দিন এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না মন্ত্রী উদয়ন, কড়া নির্দেশ কমিশনের

মিঠুন বড় গদ্দার, ছেলেকে বাঁচাতে আরএসএস অফিসে মাথা নিচু করেছে: মমতা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.