কলকাতা, 22 এপ্রিল: চলছে লোকসভা নির্বাচন ৷ তার মধ্যেই আজ সোমবার 2016-র এসএসসি নিয়োগ বাতিল বলে রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ এতে প্রশাসনিক মহলে প্রশ্ন উঠছিল ভোটকর্মী হিসেবে যেহেতু শিক্ষকরা কাজ করে থাকেন সেহেতু 25 হাজার 753 জনের চাকরি গেলে নির্বাচনের কাজে কোনও প্রভাব পড়তে পারে ? এই বিষয়ে অবশ্য আশ্বস্ত করেছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর ৷
জানানো হয়েছে, হাতে পর্যাপ্ত ভোটকর্মী রয়েছে । তেমন সমস্যা হবে না । কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর নির্বাচন করাবার ক্ষেত্রে ভোটকর্মীদের তেমন একটা অভাব হবে না বলেই জানিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর । যেহেতু আজই এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে তাই এই বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে আরও আলোচনা করবে কমিশন ।
আজ 2016-এর এসএসসি প্যানেলভুক্ত প্রায় 26 হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল বলে রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ । লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে এহেন ঐতিহাসিক রায় দিল উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ । যেহেতু সরকারি কর্মচারীরাই ভোট করান তাই এই বিপুল সংখ্যক কর্মীদের চাকরি গেলে টান পড়তে পারে ভোটকর্মীতে । এমনটাই আশঙ্কা করছেন অনেকেই ।
আজ সাংবাদিক সম্মেলনে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী জানান যে, রাজ্যে যত ভোটকর্মী রয়েছেন তাঁদের মধ্যে বহু শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন । প্রতি দফার জন্য 20 থেকে 25 শতাংশ ভোটকর্মী সংরক্ষিত বা রিজার্ভে থাকে । রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা 80 হাজারের কিছু বেশি । প্রথম পর্বের নির্বাচন ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে । তাই 26 হাজার কর্মীর চাকরি বাতিল হলেও রিজার্ভে যতজন আছেন তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভোটকর্মী রয়েছে কমিশনের হাতে । দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণের কাজের জন্য তারা ইতিমধ্যেই ডিসিআরসিতে পৌঁছে গিয়েছেন । পরবর্তীতে যদি কর্মীর অভাব হয় সেই ক্ষেত্রে রিজার্ভ থেকে নেওয়া হবে । কমিশনের কাছে পর্যাপ্ত ভোটকর্মীরা রয়েছে ।
আরও পড়ুন :