তালডাংরা, 27 অক্টোবর: যতই হোক উপনির্বাচন, ভোট ময়দানে একে অপরকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের দুই প্রধান প্রতিপক্ষ ৷ একজন তৃণমূলের ফাল্গুনী সিনহাবাবু এবং আরেকজন বিজেপির প্রার্থী অনন্যা রায় চক্রবর্তী ৷ মেঘলা আবহাওয়া ও ভ্যাপসা গরমের মধ্য়েই রবিবার নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে দেখা গেল দুই প্রার্থীকে ৷
একদিকে তৃণমূলের প্রার্থী প্রচারে নেমেছেন 2011 সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হওয়া উন্নয়নকে হাতিয়ার করে ৷ অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থীর হাতিয়ার গত 13 বছরে তালডাংরার মানুষের না-পাওয়াকে, পাওয়ায় রূপান্তরিত করার আশ্বাস ৷ এ দিন তালডাংরা বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রচারে তৃণমূল প্রার্থীকে দেখা গেল সাইকেলে করে ঘুরতে ৷ সবুজ সাথীর সাইকেল এখন গ্রামবাংলার প্রায় প্রতিঘরে স্কুল পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে ৷ সেটাই এ দিন সাইকেলে করে প্রচারের মাধ্যমে তুলে ধরলেন ৷
আর প্রতিপক্ষ সম্পর্কে তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিনহাবাবুর মন্তব্য, "বিজেপি প্রার্থী তো তালডাংরাকে 2024 সাল থেকে দেখছেন ৷ আমরা এখন যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি, সেখানে 2011 সালের আগে কী ছিল, সেটা বিজেপির প্রার্থী জানেন না ৷ তাই ওঁর মতে, তালডাংরার কোনও উন্নতি হয়নি ৷ ওঁর কাছে তালডাংরার উন্নয়ন অনেকটা, 2014 সালে ভারতের আবিষ্কার হওয়ার মতো !" এ দিন বিক্রমপুরের শালবনি, আসনবনি-সহ একাধিক গ্রামে প্রচার সারলেন তৃণমূলের প্রার্থী ৷
অন্যদিকে, দলীয় কর্মীদের নিয়ে মানুষের বাড়ির দোরগোড়ায় গিয়ে ভোট চাইলেন বিজেপির প্রার্থী অনন্যা রায় চক্রবর্তী ৷ তাঁর প্রচারের হাতিয়ার গ্রামের মানুষের না-পাওয়া সরকারি সুবিধাগুলি, পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস ৷ অভিযোগ করলেন, তালডাংরা বিধানসভার বহু বয়স্ক মানুষ বার্ধক্য ভাতা পাননি ৷ এদিকে সরকারি ক্যাম্প বসিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হচ্ছে বলে প্রচার করছে তৃণমূল ৷ কিন্তু, অসংখ্য গরিব বয়স্ক মানুষজনের কাছে সেই ভাতার টাকা পৌঁছায়নি ৷ তাহলে সেই ভাতার সুবিধা কারা পেলেন ? কোথায় যাচ্ছে, বার্ধক্য ভাতার 1 হাজার টাকা ? প্রশ্ন তুলেছেন, বিজেপির প্রার্থী ৷
প্রার্থী পছন্দ না হওয়ার জের ! একাধিক দলীয় কার্যালয়ে তালা বিজেপি কর্মীদের