কলকাতা, 2 জুলাই: নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে 35দিনে 47টি এফআইআর ৷ মামলায় সমস্ত তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি অমৃতা সিনহা মঙ্গলবার পুলিশকে মামলাগুলিতে সমস্ত তদন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশ, প্রায় সব অভিযোগ একইরকম ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। পুলিশ এই সময়ের মধ্যে দ্রুত তদন্ত করবে। এই তদন্ত চলবে কি না, সেটা স্থির হবে এই মামলার ভবিষ্যতের উপরে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছে। ফলে আর নতুন করে তদন্ত এই মুহূর্তে প্রয়োজন আছে কি না, তাই এই মামলার ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করবে। এই সময়ের মধ্যে সবপক্ষ হলফনামা দেবে। তিন সপ্তাহ পড়ে ফের মামলা শুনবে আদালত। এই সময়ের মধ্যে মামলা কারীদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।
রাজ্য এ দিন আদালতে জানায়, মামলাগুলির তদন্ত চলছে । কোনও মামলায় অভিযুক্তদের যোগ পাওয়া না গেলে কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না । মূলত তিনজন অভিযুক্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই মামলায় যুক্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই । কারণ তিনি রক্ষাকবচ নিয়ে রয়েছেন । গোটাটাই মিথ্যে অভিযোগ। পুলিশ তদন্ত করছে । ঘটনায় জড়িত না পেলে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না । আশংকা থেকে এইভাবে মামলা করা যায় না । আদালত চাইলে আমরা হলফনামা দিয়ে সব তদন্তের অগ্রগতি জানাব। তদন্ত হস্তান্তরের কোনও কারণ নেই।
অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতার আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিয়া বলেন, "রাজ্য 10 জন মামলাকারীর কথা জানাচ্ছে, বাস্তবে তাই নয়। কারণ পুলিশ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ওপেন এন্ডেড এফআইআর করে রেখেছে। ফলে মামলাকারীদের বাইরেও যাকে মনে হবে তাকেই এইসব মামলায় টার্গেট করার সুযোগ রেখে দিয়েছে পুলিশ । বসির আহমেদ কে ? যিনি একাই 5-6 টা অভিযোগ দাযের করেছেন। এই ব্যক্তি মৌখিক অভিযোগ করেন। তারপরে আইসি নিজে না অন্য কাউকে দিয়ে তাঁর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।"