ETV Bharat / state

ঝাড়গ্রাম মেডিক্যালে চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুতে রাজ্যের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের - HC SEEKS REPORT ON DOCTOR DEATH

গত 7 অক্টোবর ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডক্টর দীপ্র ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ৷ এই নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট ৷

CALCUTTA HIGH COURT
কলকাতা হাইকোর্ট (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 10 hours ago

কলকাতা, 9 জানুয়ারি: ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রেসিডেন্ট ডক্টরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট । মুখবন্ধ খামে দু'সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট দিতে রাজ্য সরকারকে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ।

উল্লেখ্য, দীপ্র ভট্টাচার্য ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের একজন সিনিয়র রেসিডেন্ট ডক্টর ছিলেন । গত 7 অক্টোবর তাঁকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের হস্টেল থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৷

জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, মৃত্যুর দিন ওই চিকিৎসক তাঁর মোবাইল ফোন থেকে দু'টি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন ৷ একটা তাঁর স্ত্রীকে৷ যিনি পেশায় এসএসকেএমের নার্স ৷ আর একটি তাঁর সহপাঠী ডাক্তারদের ৷ সেখানে হাসপাতালের থ্রেট কালচার নিয়ে স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন তিনি ।

এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানান, থ্রেট কালচার ও অন্যান্য ইস্যুগুলো এই সংক্রান্ত বিষয় এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন ।

রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষাণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই ডাক্তারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো ছিল না । তাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে সেরকম সন্দেহ । সেখানে তিনি বারবার চরম পদক্ষেপ করবেন বলে বলেছেন - এই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে । তদন্ত করে দেখা হচ্ছে । সিএফএসলের রিপোর্ট এখনও আসেনি ।"

প্রধান বিচারপতি মামলাকারী আইনজীবীকে বলেন, ‘‘স্ত্রীকে মামলায় যুক্ত করা দরকার । তাঁর বক্তব্য থাকতে পারে ।
তবে পরিবারের গোপনীয়তা বজায় রাখা প্রয়োজন । মৃতের স্ত্রীও একজন নার্স । ফলে তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে । সেদিকটাও মাথায় রাখা জরুরি । আইনজীবী পরিবারের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ।’’ ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, রাজ্য আগে রিপোর্ট দিক । সিএফএসলের রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে দিতে হবে রাজ্যকে ।

প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গত 9 অগস্ট এক চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে ৷ সেই নিয়ে তোলপাড় হয় পুরো রাজ্য ৷ তখনই রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচার নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করে ৷

আরজি করের ঘটনার মাসদুয়েকের মধ্যেই ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রেসিডেন্ট ডক্টর দীপ্র ভট্টাচার্যের রহস্যমৃত্যু হয় ৷ সেখানেও থ্রেট কালচারের অভিযোগ সামনে আসে ৷ এবার ওই মৃত্যু নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট ৷ এখন দেখার রাজ্য সরকার এই নিয়ে কী রিপোর্ট দেয় !

কলকাতা, 9 জানুয়ারি: ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রেসিডেন্ট ডক্টরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট । মুখবন্ধ খামে দু'সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট দিতে রাজ্য সরকারকে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ।

উল্লেখ্য, দীপ্র ভট্টাচার্য ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের একজন সিনিয়র রেসিডেন্ট ডক্টর ছিলেন । গত 7 অক্টোবর তাঁকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের হস্টেল থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৷

জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, মৃত্যুর দিন ওই চিকিৎসক তাঁর মোবাইল ফোন থেকে দু'টি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন ৷ একটা তাঁর স্ত্রীকে৷ যিনি পেশায় এসএসকেএমের নার্স ৷ আর একটি তাঁর সহপাঠী ডাক্তারদের ৷ সেখানে হাসপাতালের থ্রেট কালচার নিয়ে স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন তিনি ।

এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানান, থ্রেট কালচার ও অন্যান্য ইস্যুগুলো এই সংক্রান্ত বিষয় এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন ।

রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষাণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই ডাক্তারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো ছিল না । তাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে সেরকম সন্দেহ । সেখানে তিনি বারবার চরম পদক্ষেপ করবেন বলে বলেছেন - এই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে । তদন্ত করে দেখা হচ্ছে । সিএফএসলের রিপোর্ট এখনও আসেনি ।"

প্রধান বিচারপতি মামলাকারী আইনজীবীকে বলেন, ‘‘স্ত্রীকে মামলায় যুক্ত করা দরকার । তাঁর বক্তব্য থাকতে পারে ।
তবে পরিবারের গোপনীয়তা বজায় রাখা প্রয়োজন । মৃতের স্ত্রীও একজন নার্স । ফলে তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে । সেদিকটাও মাথায় রাখা জরুরি । আইনজীবী পরিবারের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ।’’ ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, রাজ্য আগে রিপোর্ট দিক । সিএফএসলের রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে দিতে হবে রাজ্যকে ।

প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গত 9 অগস্ট এক চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে ৷ সেই নিয়ে তোলপাড় হয় পুরো রাজ্য ৷ তখনই রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচার নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করে ৷

আরজি করের ঘটনার মাসদুয়েকের মধ্যেই ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রেসিডেন্ট ডক্টর দীপ্র ভট্টাচার্যের রহস্যমৃত্যু হয় ৷ সেখানেও থ্রেট কালচারের অভিযোগ সামনে আসে ৷ এবার ওই মৃত্যু নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট ৷ এখন দেখার রাজ্য সরকার এই নিয়ে কী রিপোর্ট দেয় !

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.