কলকাতা, 30 জুলাই: ভুয়ো ডোমিসাইল (বাসিন্দা) শংসাপত্র দিয়ে সিএপিএফ (সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স)-এ নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবে কমিশন। 2021 এবং 2022 সালের প্রায় মোট সাড়ে নয় হাজার পদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মামলাকারী প্রার্থীদের জন্য তিনটি পদ ফাঁকা রাখতে নির্দেশ বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের। শুভ্রদীপ পাল-সহ একাধিক প্রার্থী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন ।
আগামী 30 অগস্টের মধ্যে স্টাফ সিলেকশন কমিশনকে এই ব্যাপারে হলফনামা দিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে। একইসঙ্গে সিবিআই-কে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। সেপ্টেম্বর মাসে ফের মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, এই ইস্যুতে দায়ের হওয়া অন্য একটি মামলায় এর আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মামলার সঙ্গেই এই মামলার বিষয়েরও যেহেতু সংযোগ রয়েছে, সেকারণে সিবিআই-কে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এরই মধ্যে বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চে আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্য়ায় এদিন দাবি করেন, গুচ্ছ গুচ্ছ ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট দিয়ে এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে নিয়োগ পাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এই নিয়ে অন্য একটি মামলায় 2021 সালের তিন হাজার পদের জন্য অন্তত দেড় হাজার প্রার্থী ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট জমা দিয়েছে। আবার 2022 সালে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার পদেও কয়েকহাজার প্রার্থী ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়েছে বলে রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, এর আগে ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট দিয়ে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিষ্ণু চৌধুরী নামে এক ব্যাক্তি । বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিবিআই রিপোর্ট দিয়ে জানায়, অনেক ক্ষেত্রেই ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা দিয়ে নিয়োগ হয়েছে। একাধিক রাজ্যের সেনা ছাউনিতে ছড়িয়ে আছে সেই নিয়োগ চক্রের জাল। সেনাবাহিনীর এক শ্রেণির কর্মী সরাসরি এই বেআইনি নিয়োগ চক্রের সঙ্গে যুক্ত। এমনকী পদস্থ আধিকারিকদের যোগ থাকতে পারে বলে উল্লেখ রয়েছে সিবিআই রিপোর্ট।