কলকাতা, 30 জানুয়ারি: নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর স্কুলে শিক্ষকদের উপর বহিরাগতদের আক্রমণের ঘটনায় আগামী দু'দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপিকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৷ পাশাপাশি তদন্তে কী অগ্রগতি হয়েছে আগামী 5 ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা আদালতে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ।
সোমবার বিচারপতি বসু নরেন্দ্রপুরের ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন । এরপরে এ দিন সহকারী শিক্ষকদের আইনজীবী আদালতে জানান, "বলরামপুর এমএন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলের আলমারির চাবি তাঁর ভাইয়ের হাত দিয়ে পাঠিয়েছেন ৷ তাঁর ভাই ওই স্কুলের প্যারাটিচার । ওই চাবিটি বর্তমানে স্কুলের এক কর্মচারীর কাছে রাখা হয়েছে ।"
স্কুলে হামলার ঘটনায় শিক্ষা দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরকে এ দিন সশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বসু । তিনি নির্দেশ দেন, নতুন করে ওই ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে । মাধ্যমিক পরীক্ষার পর সাতদিনের মধ্যে তদন্ত করে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে । স্কুলের আগের অডিট রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । যদি কিছু খামতি থাকে, তবে পরে আদালত নতুন অডিটর নিয়োগ করতে পারে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি বসু ।
এ দিন ভার্চুয়ালি এসপি আদালতে জানান, "শিক্ষকদের উপর আক্রমণে অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে ডিএসপির নেতৃত্বে একটা দল কাজ করছে । এখনও পর্যন্ত চারজনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে । আগামী দু'দিনের মধ্যে আশা করা যাচ্ছে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে ।" এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বসু বলেন, "মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা যাবে বলে মনে করছি ৷"
নরেন্দ্রপুর থানার বর্তমান আইসি অনির্বাণ বিশ্বাসের বদলির নির্দেশ এসে গিয়েছে ৷ তবে তদন্তের স্বার্থে তাঁকে যাতে আরও দু'দিন রেখে দেওয়া যায়, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিচারপতি বসু আর্জি জানালেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে । বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলও ।
নরেন্দ্রপুর থানার আইসিকে সোমবারই বিচারপতি বলেছিলেন ,"এফআইআরে নাম রয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান শিক্ষকের, এদের গ্রেফতার করার কী হবে ? এদের গ্রেফতার করতে হবে, পারবেন ?" যদিও এই মামলায় আরও দু'জনকে গ্রেফতার করা হলেও এফআইআরে যাদের নাম রয়েছে তারা সবাই এখনও অধরা ।
আরও পড়ুন: