কলকাতা, 13 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ডে বড় মোড়! এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এই মামলার বিস্তারিত নথি খতিয়ে দেখে এই নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্ট জানায়, রাজ্যের হাতে থাকা সমস্ত তথ্য, নথিপত্র সিবিআইকে দিয়ে দিতে হবে। যে সব সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে, তা-ও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সন্দীপ ঘোষকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে ফেরানো যাবে না বলে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট ৷
আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। সেই সব তথ্য থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, যুবতীকে নৃশংস ভাবে নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক জন 'প্রভাবশালী' সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তার প্রমাণ পেতে তদন্ত, জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা । শনিবার এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে, বিচারক তাকে 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে । মঙ্গলবার, প্রধান বিচারপতির এজলাসে ওই মামলারই শুনানি ছিল। প্রসঙ্গত, জনস্বার্থ মামলায় মূলত তিনটি আবেদন করা হয়েছিল হাই কোর্টে। তার মধ্যে প্রধান মামলাটি হল, এই ঘটনার তদন্তনিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে করানো। মামলাকারীদের বক্তব্য, যে সংস্থার উপর রাজ্যের প্রভাব থাকবে না, তেমনই কোনও নিরপেক্ষ সংস্থা (যেমন, সিবিআই) এই ঘটনার তদন্তভার পাক। এ ছাড়াও, এই ধর্ষণ-খুনের টনায় আর কেউ জড়িত কিনা, অবিলম্বে তদন্ত করে তা প্রকাশ্যে আনার আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারীরা। তাঁদের আবেদান, কলকাতা হাইকোর্ট এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিক । মামলায় সমস্ত সরকারি হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা বসানোর আর্জিও জানানো হয়েছে । আবেদনকারীদের মত, হাসপাতালের প্রতিটি তলের করিডোরে যাতে সিসি ক্যামেরা থাকে, তার ব্যবস্থা করা হোক।