ETV Bharat / state

যাকে খুশি গ্রেফতার করে 24 ঘণ্টা পর ছেড়ে দেবে ? পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি - Calcutta High Court

Calcutta High Court: এই ভাবে চলতে থাকলে তো পুলিশ যাকে খুশি গ্রেফতার করবে আর 24 ঘণ্টা পরই তাঁদের ছেড়ে দেবে ৷ নবান্ন অভিযানের আগের রাতে চারজনের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এভাবেই উষ্মা প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ৷

ETV BHARAT
পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 2, 2024, 1:52 PM IST

কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর: নবান্ন অভিযানের আগের রাতে চারজনের গ্রেফতারি ও 24 ঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ কীসের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করল এবং কীসের ভিত্তিতে ছেড়ে দিল, তার বিস্তারিত তথ্য পুলিশকে মঙ্গলবার আদালতে পেশ করতে বলেছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ৷

নবান্ন অভিযানের আগে 26 জুলাই হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে চারজনকে । সেই নিয়ে পরের দিনই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ধৃতদের পরিবারের লোকজন । এরপর পুলিশ ওই চারজনের গ্রেফতারির কথা ঘোষণা করে । 27 অগস্ট বিকেলে বেলুড় থানা থেকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় । তাঁদের বিরুদ্ধে নবান্ন অভিযানে গোলমালে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় ।

ধৃতদের পরিবারের তরফে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার এদিন আদালতে বলেন, "যদি তাই হয়, তাহলে তাঁদের পুলিশ থানা থেকে ছেড়ে দিল কী করে ! এখানে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছে । অথচ কোনও নিয়ম মানা হয়নি । তাঁরা দাগি অপরাধী নন । তাই এখানে গ্রেফতারের কারণ স্পষ্ট নয় ।

যদিও রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি, পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিল, এই চারজন নবান্ন অভিযানে বড় কোনও গোলমাল করে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন । তার ভিত্তিতেই তাঁদের আগাম গ্রেফতার করা হয়েছিল ।

রাজ্যের এই বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের প্রশ্ন, "কোথা থেকে পুলিশ এঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেল ? কী অভিযোগ পেল ? এঁদের বিরুদ্ধে অতীতে কোনও অপরাধের ঘটনা আছে কি ? এই সব তথ্য কোথায় ? যদি পুলিশ এঁদের সম্পর্কে গুরুতর অভিযোগ পেয়ে থাকে, তাহলে তাঁদের ছেড়ে দিল কী করে ? আর যদি পুলিশের কাছে আসা তথ্য বিশ্বাসযোগ্য না-হয় তাহলে তাঁদের গ্রেফতার ও 24 ঘণ্টা আটকে রাখা হল কেন ? এই ভাবে গ্রেফতার করা যায় না । আর গ্রেফতার করলে তাঁদের এই ভাবে ছাড়া যায় না । যেখানে দেখছেন, এখন এই ইস্যুতে পরিবেশ অন্যরকম হয়ে রয়েছে ।"

এই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি নিয়ে মঙ্গলবার সিনিয়র কোনও রাজ্যের আইনজীবীকে আদালতে হাজির থাকতে বলেছেন বিচারপতি ৷ রাজ্যের তরফেও জানানো হয়েছে যে, তারা হলফনামা দিয়ে সব জানাতে চায় । রাজ্যের কাছে এবিষয়ে সব তথ্য আছে ।

কিন্তু বিচারপতি বলেন, "কোনও হলফনামা নয় । কাল যাবতীয় তথ্য নথি নিয়ে আদালতকে দেখাতে হবে কীসের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করছিল আর কীসের ভিত্তিতেই বা ছেড়ে দিল । এই ভাবে চললে তো পুলিশ যাকে খুশি গ্রেফতার করবে আর 24 ঘণ্টা পর ছেড়ে দেবে । কাল দিনের প্রথম মামলা হিসেবে এটার শুনানি হবে ।"

উল্লেখ্য, নবান্ন অভিযানের আগের দিন রাতে পুলিশ শুভজিৎ ঘোষ, পুলকেশ পণ্ডিত, গৌতম সেনাপতি ও প্রীতম সরকারকে গ্রেফতার করে । 'ছাত্র সমাজ'-এর ডাকা নবান্ন অভিযানের আগের রাত থেকে হঠাৎ করেই তাঁদের পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁদের পরিবারের লোকজন । এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ৷

কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর: নবান্ন অভিযানের আগের রাতে চারজনের গ্রেফতারি ও 24 ঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ কীসের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করল এবং কীসের ভিত্তিতে ছেড়ে দিল, তার বিস্তারিত তথ্য পুলিশকে মঙ্গলবার আদালতে পেশ করতে বলেছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ৷

নবান্ন অভিযানের আগে 26 জুলাই হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে চারজনকে । সেই নিয়ে পরের দিনই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ধৃতদের পরিবারের লোকজন । এরপর পুলিশ ওই চারজনের গ্রেফতারির কথা ঘোষণা করে । 27 অগস্ট বিকেলে বেলুড় থানা থেকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় । তাঁদের বিরুদ্ধে নবান্ন অভিযানে গোলমালে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় ।

ধৃতদের পরিবারের তরফে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার এদিন আদালতে বলেন, "যদি তাই হয়, তাহলে তাঁদের পুলিশ থানা থেকে ছেড়ে দিল কী করে ! এখানে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছে । অথচ কোনও নিয়ম মানা হয়নি । তাঁরা দাগি অপরাধী নন । তাই এখানে গ্রেফতারের কারণ স্পষ্ট নয় ।

যদিও রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি, পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিল, এই চারজন নবান্ন অভিযানে বড় কোনও গোলমাল করে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন । তার ভিত্তিতেই তাঁদের আগাম গ্রেফতার করা হয়েছিল ।

রাজ্যের এই বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের প্রশ্ন, "কোথা থেকে পুলিশ এঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেল ? কী অভিযোগ পেল ? এঁদের বিরুদ্ধে অতীতে কোনও অপরাধের ঘটনা আছে কি ? এই সব তথ্য কোথায় ? যদি পুলিশ এঁদের সম্পর্কে গুরুতর অভিযোগ পেয়ে থাকে, তাহলে তাঁদের ছেড়ে দিল কী করে ? আর যদি পুলিশের কাছে আসা তথ্য বিশ্বাসযোগ্য না-হয় তাহলে তাঁদের গ্রেফতার ও 24 ঘণ্টা আটকে রাখা হল কেন ? এই ভাবে গ্রেফতার করা যায় না । আর গ্রেফতার করলে তাঁদের এই ভাবে ছাড়া যায় না । যেখানে দেখছেন, এখন এই ইস্যুতে পরিবেশ অন্যরকম হয়ে রয়েছে ।"

এই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি নিয়ে মঙ্গলবার সিনিয়র কোনও রাজ্যের আইনজীবীকে আদালতে হাজির থাকতে বলেছেন বিচারপতি ৷ রাজ্যের তরফেও জানানো হয়েছে যে, তারা হলফনামা দিয়ে সব জানাতে চায় । রাজ্যের কাছে এবিষয়ে সব তথ্য আছে ।

কিন্তু বিচারপতি বলেন, "কোনও হলফনামা নয় । কাল যাবতীয় তথ্য নথি নিয়ে আদালতকে দেখাতে হবে কীসের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করছিল আর কীসের ভিত্তিতেই বা ছেড়ে দিল । এই ভাবে চললে তো পুলিশ যাকে খুশি গ্রেফতার করবে আর 24 ঘণ্টা পর ছেড়ে দেবে । কাল দিনের প্রথম মামলা হিসেবে এটার শুনানি হবে ।"

উল্লেখ্য, নবান্ন অভিযানের আগের দিন রাতে পুলিশ শুভজিৎ ঘোষ, পুলকেশ পণ্ডিত, গৌতম সেনাপতি ও প্রীতম সরকারকে গ্রেফতার করে । 'ছাত্র সমাজ'-এর ডাকা নবান্ন অভিযানের আগের রাত থেকে হঠাৎ করেই তাঁদের পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁদের পরিবারের লোকজন । এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.