ETV Bharat / state

স্কুলে নিযুক্ত শিক্ষকদের তথ্য বাংলার শিক্ষা পোর্টালে দ্রুত আপলোড করার নির্দেশ হাইকোর্টের - SSC Recruitment Scam

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 20, 2024, 5:01 PM IST

Updated : Jun 20, 2024, 5:21 PM IST

High Court on SSC Recruitment Scam: রাজ্যের স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যাবতীয় তথ্য 'বাংলার শিক্ষা পোর্টাল'-এ দু'সপ্তাহের মধ্যে আপলোড করার কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

Calcutta High Court
কলকাতা হাইকোর্ট (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 20 জুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের অধীনে থাকা সব স্কুলে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য 'বাংলার শিক্ষা পোর্টাল'-এ আপলোড করার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে, বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৷

বিচারপতি বলেন, "স্কুলের শিক্ষক যে যে বিষয় পড়াচ্ছেন, তাঁর যোগ্যতা কী, সেটা ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের জানা উচিত ৷ কারণ অভিযোগ এসেছে বহু শিক্ষক/শিক্ষিকার যোগ্যতা নেই ৷ অথচ তাঁরা স্কুলে নিযুক্ত হয়েছেন ৷ সেই জন্য রাজ্যকে প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকার যোগ্যতা কী, তা সরকারের পোর্টালে আপলোড করতে হবে ৷" এদিন রাজ্যের সব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য জড়ো করতে আরও দু'মাস সময় চেয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসুমল্লিক ৷

এদিন রাজ্যের আইনজীবী হুগলি, বীরভূম এবং নদিয়া জেলার রিপোর্ট তুলে দিয়েছেন বিচারপতির হাতে ৷ তারপরই বিচারপতির মন্তব্য, "রাজ্য সমস্ত ব্যাপারে এত স্লো কেন ?" বিচারপতির বক্তব্য, "আরও দ্রুত কাজ করতে হবে ৷ কোনও রকম নিয়োগপত্র ছাড়াই বহু শিক্ষক চার-পাঁচ বছর ধরে চাকরি করছেন ৷ আর দেরি করা যাবে না ৷ কারা স্কুলে চাকরি করছে, সেটা সবার জানার দরকার ৷"

লোকসভা নির্বাচনের কারণে রাজ্যের স্কুলগুলির পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৷ এবিষয়ে রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, "নির্বাচনের জন্য কেন যে দেশে আলাদা বিল্ডিং বানানো হচ্ছে না ? স্কুলগুলি রাজনৈতিক নেতাদের, মিলিটারিদের ! খালি ছাত্রদের নয় ৷ দেশে প্রতি বছর দু-তিনটি করে নির্বাচন হচ্ছে ৷ আর ভুগতে হচ্ছে গরিব ছাত্রছাত্রীদের ৷ সরকার আলাদা করে বাহিনীর লোকজনের থাকার জন্য বিল্ডিং বানাক ৷ যেখানে সব রকম ব্যবস্থা থাকবে ৷ গত তিন-চার মাস ধরে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মিড ডে মিল পাচ্ছে না ৷"

উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারিকে স্কুলে চাকরিতে নিযুক্ত করেছিলেন ৷ সেই ঘটনায় সাড়া পড়ে যায় সারা রাজ্যে ৷ হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় ৷ ইতিমধ্যে অনিমেষ তিওয়ারির চাকরি বাতিল করেছে হাইকোর্ট ৷ পাশাপাশি আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে শিক্ষা দফতর পদক্ষেপ করেছে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হয়েছে নিম্ন আদালতে ৷

বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই ঘটনার পর সিআইডি-কে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ সারা রাজ্যে এই ধরনের বেআইনি চাকরি প্রাপক কারা আছে, তা খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেয় আদালত ৷ তারপর সিআইডি অন্তত সাত জনকে খুঁজে পেয়েছে, যারা কোনও পরীক্ষা না দিয়েই বিভিন্ন স্কুলে চাকরি করছে ৷

স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে রাজ্যের সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে যারা বর্তমানে চাকরি করছেন তাঁরা সবাই যোগ্য তো ? নিয়মমাফিক আইনি পথেই নিযুক্ত হয়েছিলেন ? বিচারপতি বসু রাজ্যের স্কুলগুলিতে নিযুক্ত শিক্ষক-অশিক্ষিকাদের বিষয়ে যাতে স্বচ্ছতা জনমানসে বজায় থাকে, সেদিকে তাকিয়ে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন, প্রেসিডেন্ট ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন, চেয়ারম্যান সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন-কে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন ৷

রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দেন যাতে সব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য বাংলার শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করা হয় ৷ এই কাজ আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ৷ এ ব্যাপারে মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, "স্বচ্ছতার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ করা উচিত ৷ এত দিন ধরে সেটা করা হয়নি ৷ এটা দুর্ভাগ্যের বিষয় ৷ সাধারণ মানুষ সেটা এতদিন জানতে পারেনি ৷ আদালতের এই পদক্ষেপ সাধুবাদ যোগ্য ৷"

কলকাতা, 20 জুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের অধীনে থাকা সব স্কুলে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য 'বাংলার শিক্ষা পোর্টাল'-এ আপলোড করার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে, বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৷

বিচারপতি বলেন, "স্কুলের শিক্ষক যে যে বিষয় পড়াচ্ছেন, তাঁর যোগ্যতা কী, সেটা ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের জানা উচিত ৷ কারণ অভিযোগ এসেছে বহু শিক্ষক/শিক্ষিকার যোগ্যতা নেই ৷ অথচ তাঁরা স্কুলে নিযুক্ত হয়েছেন ৷ সেই জন্য রাজ্যকে প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকার যোগ্যতা কী, তা সরকারের পোর্টালে আপলোড করতে হবে ৷" এদিন রাজ্যের সব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য জড়ো করতে আরও দু'মাস সময় চেয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসুমল্লিক ৷

এদিন রাজ্যের আইনজীবী হুগলি, বীরভূম এবং নদিয়া জেলার রিপোর্ট তুলে দিয়েছেন বিচারপতির হাতে ৷ তারপরই বিচারপতির মন্তব্য, "রাজ্য সমস্ত ব্যাপারে এত স্লো কেন ?" বিচারপতির বক্তব্য, "আরও দ্রুত কাজ করতে হবে ৷ কোনও রকম নিয়োগপত্র ছাড়াই বহু শিক্ষক চার-পাঁচ বছর ধরে চাকরি করছেন ৷ আর দেরি করা যাবে না ৷ কারা স্কুলে চাকরি করছে, সেটা সবার জানার দরকার ৷"

লোকসভা নির্বাচনের কারণে রাজ্যের স্কুলগুলির পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৷ এবিষয়ে রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, "নির্বাচনের জন্য কেন যে দেশে আলাদা বিল্ডিং বানানো হচ্ছে না ? স্কুলগুলি রাজনৈতিক নেতাদের, মিলিটারিদের ! খালি ছাত্রদের নয় ৷ দেশে প্রতি বছর দু-তিনটি করে নির্বাচন হচ্ছে ৷ আর ভুগতে হচ্ছে গরিব ছাত্রছাত্রীদের ৷ সরকার আলাদা করে বাহিনীর লোকজনের থাকার জন্য বিল্ডিং বানাক ৷ যেখানে সব রকম ব্যবস্থা থাকবে ৷ গত তিন-চার মাস ধরে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মিড ডে মিল পাচ্ছে না ৷"

উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারিকে স্কুলে চাকরিতে নিযুক্ত করেছিলেন ৷ সেই ঘটনায় সাড়া পড়ে যায় সারা রাজ্যে ৷ হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় ৷ ইতিমধ্যে অনিমেষ তিওয়ারির চাকরি বাতিল করেছে হাইকোর্ট ৷ পাশাপাশি আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে শিক্ষা দফতর পদক্ষেপ করেছে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হয়েছে নিম্ন আদালতে ৷

বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই ঘটনার পর সিআইডি-কে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ সারা রাজ্যে এই ধরনের বেআইনি চাকরি প্রাপক কারা আছে, তা খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেয় আদালত ৷ তারপর সিআইডি অন্তত সাত জনকে খুঁজে পেয়েছে, যারা কোনও পরীক্ষা না দিয়েই বিভিন্ন স্কুলে চাকরি করছে ৷

স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে রাজ্যের সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে যারা বর্তমানে চাকরি করছেন তাঁরা সবাই যোগ্য তো ? নিয়মমাফিক আইনি পথেই নিযুক্ত হয়েছিলেন ? বিচারপতি বসু রাজ্যের স্কুলগুলিতে নিযুক্ত শিক্ষক-অশিক্ষিকাদের বিষয়ে যাতে স্বচ্ছতা জনমানসে বজায় থাকে, সেদিকে তাকিয়ে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন, প্রেসিডেন্ট ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন, চেয়ারম্যান সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন-কে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন ৷

রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দেন যাতে সব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য বাংলার শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করা হয় ৷ এই কাজ আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ৷ এ ব্যাপারে মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, "স্বচ্ছতার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ করা উচিত ৷ এত দিন ধরে সেটা করা হয়নি ৷ এটা দুর্ভাগ্যের বিষয় ৷ সাধারণ মানুষ সেটা এতদিন জানতে পারেনি ৷ আদালতের এই পদক্ষেপ সাধুবাদ যোগ্য ৷"

Last Updated : Jun 20, 2024, 5:21 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.