কলকাতা, 24 অগস্ট: মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও মেলেনি চাকরি। 6 সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে চাকরি দিতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন।
হাইকোর্ট সূত্রে জানা যাচ্ছে, 2020 সালে এসএলএসটি-র 465টি শূন্যপদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। 2021 সালের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ধাপে ধাপে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। নবম এবং দশম শ্রেণির সাঁওতালি মিডিয়ামে কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদ ছিল 19টি। মামলাকারী শিবরাম সিনহা-সহ 8 চাকরিপ্রার্থী মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। 2021 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মেধা তালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু তারপরেও তাঁদের কারও চাকরি হয়নি বলে অভিযোগ।
কর্মশিক্ষা বিষয়ে একাধিক চাকরিপ্রার্থী মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েও নিয়োগপত্র না-পাওয়ায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে আবেদন জানান। কিন্তু কোনও ফল না-হওয়ায় নিরুপায় চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাকারী শিবরাম সিনহা-সহ ওই 8 জন চাকরিপ্রার্থীর পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী জানান, 19টি শূন্যপদ ছিল এবং তার মধ্যে 17 জনের চূড়ান্ত মেধাতালিকায় মামলাকারীদের নামও নথিভুক্ত ছিল। সেক্ষেত্রে সকলেরই নিয়োগ পাওয়ার কথা। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মামলাকারীদের সমস্ত তথ্য যাচাই করে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত করেছে। পাশাপাশি মেধাতালিকায় তাঁদের নাম থাকা সত্ত্বেও ওই শূন্যপদে কারা নিয়োগ পেলেন এনিয়ে প্রশ্ন করেন ৷ তিনি দাবি করেন, আদালতের উচিত এই বিষয়ে স্বচ্ছ নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া ৷
বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় একাধিকবার রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নোটিশ জারি করা সত্ত্বেও তারা আদালতের নির্দেশ এড়িয়ে গিয়েছে। বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় শনিবার তাঁর নির্দেশ নামায় বলেন, "মামলাকারীরা মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরও কেন নিয়েগ থেকে বঞ্চিত হলেন তাতে আদালত বিস্মিত!" পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, আবেদনকারীদের আবেদন দীর্ঘদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ফেলে রাখতে পারে না। অবিলম্বে মামলাকারীদের 6 সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।