কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর: বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট । প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বৃহস্পতিবার রাজ্যের উদ্দেশে মৌখিক নির্দেশ দিয়ে বলেন, "দুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করুন আগে ৷" প্রশাসন ইতিমধ্যে বন্যা নিয়ে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে বলে আদালতে জানান রাজ্যের আইনজীবী । একইসঙ্গে তিনি বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে নেন প্রধান বিচারপতির কাছে । প্রধান বিচারপতি আগামী 3 অক্টোবর মামলাটি ফের শুনানির জন্য রেখেছেন ।
দুই মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে বন্যায় বানভাসি মানুষ থেকে ঘরবাড়ি । সরকারের কোনও পরিকল্পনা নেই । মানুষ ত্রাণ পাচ্ছে না । এই অভিযোগ তুলে রাজ্যের সক্রিয় ভূমিকার আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে । প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয় ৷ মামলাকারী সুশান্ত জানা ৷ তাঁর আবেদন ছিল, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর , হাওড়া, হুগলির বন্যা দুর্গত মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী ও ওষুধের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন । সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন প্রধান বিচারপতি রাজ্যকে বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করার মৌখিক নির্দেশ দেন ৷
উল্লেখ্য, মাইথন, পাঞ্চেতের মতো ডিভিসির জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে ৷ যার ফলে প্লাবিত হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান ৷ হুগলি ও মেদিনীপুরের একাধিক এলাকা ঘুরে তিনি একে 'ম্যান মেড বন্যা' বলে দাবি করেছেন । এই নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপও দেগেছেন তিনি ৷ ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ার পাশাপাশি ডিভিসি রাজ্যকে না-জানিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে বলে দাবি করেন তিনি । তাঁর দাবি, এর ফলেই বানভাসি রাজ্যের একাধিক জেলা ৷ তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দায় ঠেললেও, রাজ্যকেই পালটা দোষারোপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷