কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি: নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর হাইস্কুলে শিক্ষকদের উপর আক্রমণের ঘটনায় এখনও কেন প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা গেল না। এমনই প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের। এদিন নরেন্দ্রপুর থানার তরফে জানানো হয়, এফআইআরে নাম থাকা 4 ব্যক্তির মধ্যে দু'জন গ্রেফতার হয়েছে। এখনও দু'জন গ্রেফতার হয়নি। সবমিলিয়ে মোট 8 জন গ্রেফতার হয়েছে সেদিনের ঘটনায়। প্রধান শিক্ষক এবং আকবর আলি খান (পঞ্চায়েত সদস্য) এই দু'জনকে গ্রেফতার করা যায়নি। ওরা পলাতক। তবে পুলিশ অন্য 2জনকে গ্রেফতার করতে সচেষ্ট বলে জানানো হয়েছে।
রাজ্যের তরফে এদিন হাইকোর্টে জানানো হয়েছে, প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। ফলে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ওই স্কুলের দায়িত্ব কে পাবেন তা ঠিক করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসককে। এসপি, ডিএসপি দু'জন মিলেই তদন্তে নজর রাখবেন। টিচার ইনচার্জ হিসেবে একজনকে স্কুলের মধ্যে থেকেই নির্বাচিত করতে হবে মহকুমাশাসককে। 23 ফেব্রুয়ারি ফের শুনানি মামলার। বিচারপতি বসু এদিন স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষা কেমন চলছে সেই বিষয়ে জানতে চান।
মামলাকারী শিক্ষকদের তরফে আইনজীবী সুমন দে জানান, মাধ্যমিক স্বাভাবিকভাবেই হচ্ছে। নিরাপত্তার সঙ্গেই হচ্ছে। রাজ্য জানায় তাদের কাছে খবর আছে এসডিও শিক্ষকদের মধ্যে থেকেই স্কুলের টিচার ইনচার্জ বাছাই করছেন। উল্লেখ্য, এফআইআরে নাম থাকা ব্যক্তিরা সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছিলেন। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ সেই আপিল খারিজ করে দেয়। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ বহাল রাখে।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপির কাছে জানতে চান এখনও কেন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা যায়নি ? অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও পুরো ঘটনার যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলেই যাতে স্কুলে অডিটের ব্যবস্থা করা হয় সে কথা আরও একবার মনে করিয়ে দেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: