শিলিগুড়ি, 13 মার্চ: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি-র সম্পর্ক রয়েছে ৷ সে জন্যই সিএএ-র বিরোধিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এভাবেই সিএএ নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এ দিনও সিএএ কার্যকর করা নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করেন তিনি ৷ বলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ হল একটা রাজনৈতিক গিমিক ৷
মঙ্গলবারের পর বুধবারও সিএএ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদের সুর শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ৷ তিনি জানিয়ে দেন যে, তিনি কিছুতেই অসমের মতো পশ্চিমবঙ্গে ডিটেনশন ক্যাম্প চান না । তাঁর কথায়, "সিএএ এনআরসির সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই আমরা এর বিরোধিতা করছি । আমরা অসমের মতো ডিটেনশন ক্যাম্প চাই না ৷" মমতার দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ হল একটি 'রাজনৈতিক গিমিক'।
গতকালের মতোই ফের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বৈধতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সেই বিল আমি দেখেছি, সেখানকার রুলগুলি দেখেছি ৷ আমি সন্তুষ্ট নই ৷ এটা বিজেপি শুধুমাত্র ভোটের জন্য করেছে ৷ এটা ধাপ্পা ৷ কিন্তু মানুষের অধিকার আমরা কাড়তে দেব না ৷ ওরা মুসলিমদের সম্পূর্ণ রাষ্ট্রহীন করে দিতে চায় ৷ লোকসভা ভোটের আগে এটা জেনে বুঝে করেছে ৷"
অসমের প্রসঙ্গ টেনে এ দিন বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "বাংলায় কী করেছে, ভারতে কী করেছে, মুসলিম সমাজকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়েছে ৷ হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈনদের এই ক্যা-তে নিয়ে এসেছে ৷ জেলাশাসকদের হাতে পুরোটা ছেড়ে দিন ৷ অসমের মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন ক্য়া-তে কিছু হবে না ৷ বর্ণবৈষম্যের ক্যা আমি মানি না ৷ এটা ভোটের আগে একটা ললিপপ ৷ অসমে 19 লাখের মধ্য়ে 13 লক্ষ হিন্দুর নাম বাদ গিয়েছিল ৷ ওরা নতুন করে হিন্দু ধর্ম আমদানি করেছে ৷ এই বিধিতে ধোঁয়াশা রয়েছে ৷ আমরা লিঙ্গবৈষম্য, বর্ণবৈষম্য, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে ৷ আমরা জমিদার না, আমরা পাহারাদার ৷"
আরও পড়ুন: