কলকাতা, 9 অগস্ট: দু’জনের চোখে সফলভাবে প্রতিস্থাপন হয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চোখ ৷ গতকাল তাঁর চক্ষুদানের পরেই, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আরআইও (রিজিয়োনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি) বিভাগে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে দু‘জনের ৷ সেখানে দু’জনের অন্ধত্ব জীবন শেষ করে নতুন দিশা দেখালেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। যদিও কাদের চোখে এই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে তাদের পরিচয় নিয়ম অনুযায়ী প্রকাশ্যে আনা হয়নি ৷ তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, অস্ত্রোপচার করার পর বর্তমানে ওই দুই ব্যক্তি ভালো আছেন ৷
সাদা ধুতি পাঞ্জাবি পাশাপাশি চোখে কালো চশমা, এই চেহারাই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর অন্যতম পরিচয় ৷ আলুমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে যেকোন রাজনৈতিক সভা, সর্বত্রই তাঁকে দেখা যেত এই চেনা পোশাকে ৷ রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের পতনের পর থেকে তিনি রাজনীতি থেকে একপ্রকার দূরে সরে যান ৷ দীর্ঘদিন বিভিন্ন রকম অসুখে ভুগছিলেন। চোখেরও সমস্যা ছিল ৷ আরআইও-এর অধিকর্তা জানিয়েছেন উনার রেটিনায় সমস্যা ছিল। কর্নিয়াতে কোনও সমস্যা ছিল না। তারই সঙ্গে কোনদিন ছানি অস্ত্রপ্রচারও করা হয়নি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফলে তার চক্ষুদানে সমস্যা হয়নি।
চোখে সমস্যা থাকলে আদৌ কি চক্ষুদান সম্ভব ?
এই বিষয় সরকারি হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রৌনক দাস বলেন, মূলত কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়। চক্ষুদান মানে ওই ব্যক্তির কর্নিয়া নিয়ে নেওয়া হয়। ফলে রেটিনাতে সমস্যা থাকলেও চক্ষুদানের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয় না। তবে চক্ষুদানের ক্ষেত্রে মূলত চোখের বেশ কিছু জিনিস লক্ষ্য করে নেয়া হয়। যদি গুরুতর কোনও ইনফেকশন ওই ব্যক্তির না-থাকে, তবে চক্ষু দানে কোনও বাধা থাকে না।
প্রসঙ্গত, গতকাল প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ আজ তাঁর মরদেহ পিস ওয়ার্ল্ড থেকে প্রথমে বিধানসভায় আনা হয় ৷ সেখান থেকে সিপিআইএমের রাজ্য সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ বিকেলে সেখান থেকে দীনেশ মজুমদার ভবন হয়ে বুদ্ধবাবুর দেহদানের জন্য নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হবে ৷