কলকাতা, 10 অক্টোবর: বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও দুর্গাপুজোর ভাসান নিয়ে বৈঠক করলেন বিএসএফ ও বিজিবি'র আধিকারিকরা। বনগাঁ আইসিপি পেট্রাপোল ও বসিরহাটের টাকিতে দুই পক্ষের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকটি হয়েছে বলেই বিএসএফ সূত্রে খবর। বনগাঁ ও টাকির বৈঠকের বিষয়টি ইটিভি ভারতের সঙ্গে কথা বলেছেন, বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের জনসংযোগ অধিকারিক।
তিনি বলেন, "বর্তমান চ্যালেঞ্জের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে সম্প্রতি পেট্রাপোলে বিএসএফ ও বিজিবি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত সমন্বয় বৈঠক করেছে ৷ বিএসএফ এবং বিজিবির নোডাল অফিসার স্তরের বৈঠক করেছে। ভারত-বাংলাদেশ পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও তাৎপর্যপূর্ণ।"
সূত্রের খবর, বিজিবি দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের অপারেশনস ডিরেক্টর ও নোডাল অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহম্মদ আনোয়ারুল মাজহারের নেতৃত্বে বিজিবি প্রতিনিধিদলকে বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত সদর দফতরের ডিআইজি (জি) নিলোপ্তল কুমার পাণ্ডের নেতৃত্বে বিএসএফ অভ্যর্থনা জানায়।
8096 কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে শান্তি ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উভয় পক্ষের পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল, সীমান্ত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও মানব পাচার প্রতিরোধ, যা বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার পটভূমিকায় বেড়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং এর প্রচেষ্টা বৃদ্ধির বিষয়ে দৃঢ় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বলে খবর। বাংলাদেশকে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার এবং কার্যকরভাবে অনুপ্রবেশ রোধ করার কথাও বলা হয় ৷ বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে বলে খবর ৷ বিএসএফের জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, "উভয় পক্ষই সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য তাদের যৌথ অঙ্গীকার করেছে। যে কোনও উদ্ভূত সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য নিয়মিত যোগাযোগ ও সমন্বয়ের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। বৈঠক ও আলোচনা হয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ৷ উভয় প্রতিনিধি দল অব্যাহত সহযোগিতার অঙ্গীকার করে।"