ETV Bharat / state

জেলায় জাল বিছাচ্ছে মাদক কারবারিরা, উদ্ধার 4 কোটির ব্রাউন সুগার - BROWN SUGAR SEIZED

মালদা জেলায় ফের সক্রিয় হচ্ছে মাদক কারবারিরা ৷ কালিয়াচক থেকে প্রায় চার কোটি টাকার ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে ৷

ETV BHARAT
জেলায় জাল বিছাচ্ছে মাদক কারবারিরা (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 17 hours ago

মালদা, 27 ডিসেম্বর: আবারও মাদক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সাফল্য পেল কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ উদ্ধার হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকার মাদক ৷ তবে এই চক্রের কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি ৷ শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের মোজমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইমাম জায়গির গ্রামে ৷ ঘটনার পর থেকে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কালিয়াচক থানার আইসি ৷

একের পর এক মাদক উদ্ধারের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি কালিয়াচক ফের মাদক পাচার চক্রের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে ? ফের কি এখানেই তৈরি হচ্ছে মাদক ? একসময় মাদক তৈরির জন্য এই এলাকা কুখ্যাত ছিল ৷ সেই সময় কাঁচামাল মিলত জেলাতেই ৷ গরিব কৃষকদের মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে কারবারিরা তাঁদের জমিতে পোস্ত চাষ করাত ৷ পুলিশ কিংবা আবগারি বিভাগের চোখে সেই খেত ধরা পড়লে জেলযাত্রা হত সেই কৃষকদেরই ৷ আবার কখনও জমির মালিককে গ্রেফতার করা হত ৷ কারণ, তিনি সেই জমি মোটা টাকার বিনিময়ে লিজ দিয়েছিলেন ৷

ETV BHARAT
উদ্ধার 4 কোটির ব্রাউন সুগার (নিজস্ব চিত্র)

কিন্তু সময়ের সঙ্গে সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে ৷ বর্তমানে মালদা জেলা 'জিরো পপি কাল্টিভেশন' ল্যান্ড হিসাবে ঘোষিত ৷ গত কয়েক বছর জেলার কোথাও পোস্ত চাষ ধরা পড়েনি ৷ এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ব্যবসার ছক পালটায় মাদক কারবারিরা ৷ তারা ভিনরাজ্য থেকে মাদক তৈরির কাঁচামাল কিংবা তৈরি হওয়া মাদক জেলায় আমদানি করতে শুরু করে ৷ মালদা থেকে সেসব গোটা দেশে পাচার করত তারা ৷

কিন্তু সম্প্রতি পুলিশ বেআইনি মাদক কারখানার বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান শুরু করে ৷ ইতিমধ্যে বেশকিছু মাদক তৈরির কারিগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ কিন্তু তারপরেও এই ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেনি পুলিশ ৷ মাস ছয়েক ধরে একের পর এক অভিযান চালিয়ে কয়েক কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে জেলা, ভিনজেলা, এমনকি ভিনরাজ্যের একাধিক কারবারিকে ৷

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন ইমাম জায়গির গ্রামে অভিযান চালায় কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ ওই গ্রামের একটি লিচু বাগানে তখন জড়ো হয়েছিল বেশ কয়েকজন কারবারি ৷ পুলিশ গ্রামে ঢোকার খবর পেয়েই তারা এলাকা ছেড়ে পালায় ৷ ফেলে যেতে হয় মাদক সামগ্রী ৷ পুলিশ ওই বাগানে অভিযান চালিয়ে 2 কিলো 514 গ্রাম উন্নত মানের ব্রাউন সুগার উদ্ধার করে ৷ এই মাদক একটি স্টিলের কন্টেনারে রাখা ছিল ৷ উদ্ধার হওয়া ব্রাউন সুগারের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় চার কোটি টাকা বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ৷

কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, "আজ ভোরে ইমাম জায়গির গ্রামের একটি লিচু বাগানে অভিযান চালিয়ে আড়াই কিলোরও বেশি ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে ৷ খোলা বাজারে এর দাম প্রায় চার কোটি টাকা ৷ তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা যায়নি ৷ এই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷ কে বা কারা এই মাদক সেখানে নিয়ে গিয়েছিল, সেখানে কোনও ক্রেতা ছিল কি না, সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"

মালদা, 27 ডিসেম্বর: আবারও মাদক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সাফল্য পেল কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ উদ্ধার হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকার মাদক ৷ তবে এই চক্রের কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি ৷ শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের মোজমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইমাম জায়গির গ্রামে ৷ ঘটনার পর থেকে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কালিয়াচক থানার আইসি ৷

একের পর এক মাদক উদ্ধারের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি কালিয়াচক ফের মাদক পাচার চক্রের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে ? ফের কি এখানেই তৈরি হচ্ছে মাদক ? একসময় মাদক তৈরির জন্য এই এলাকা কুখ্যাত ছিল ৷ সেই সময় কাঁচামাল মিলত জেলাতেই ৷ গরিব কৃষকদের মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে কারবারিরা তাঁদের জমিতে পোস্ত চাষ করাত ৷ পুলিশ কিংবা আবগারি বিভাগের চোখে সেই খেত ধরা পড়লে জেলযাত্রা হত সেই কৃষকদেরই ৷ আবার কখনও জমির মালিককে গ্রেফতার করা হত ৷ কারণ, তিনি সেই জমি মোটা টাকার বিনিময়ে লিজ দিয়েছিলেন ৷

ETV BHARAT
উদ্ধার 4 কোটির ব্রাউন সুগার (নিজস্ব চিত্র)

কিন্তু সময়ের সঙ্গে সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে ৷ বর্তমানে মালদা জেলা 'জিরো পপি কাল্টিভেশন' ল্যান্ড হিসাবে ঘোষিত ৷ গত কয়েক বছর জেলার কোথাও পোস্ত চাষ ধরা পড়েনি ৷ এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ব্যবসার ছক পালটায় মাদক কারবারিরা ৷ তারা ভিনরাজ্য থেকে মাদক তৈরির কাঁচামাল কিংবা তৈরি হওয়া মাদক জেলায় আমদানি করতে শুরু করে ৷ মালদা থেকে সেসব গোটা দেশে পাচার করত তারা ৷

কিন্তু সম্প্রতি পুলিশ বেআইনি মাদক কারখানার বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান শুরু করে ৷ ইতিমধ্যে বেশকিছু মাদক তৈরির কারিগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ কিন্তু তারপরেও এই ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেনি পুলিশ ৷ মাস ছয়েক ধরে একের পর এক অভিযান চালিয়ে কয়েক কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে জেলা, ভিনজেলা, এমনকি ভিনরাজ্যের একাধিক কারবারিকে ৷

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন ইমাম জায়গির গ্রামে অভিযান চালায় কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ ওই গ্রামের একটি লিচু বাগানে তখন জড়ো হয়েছিল বেশ কয়েকজন কারবারি ৷ পুলিশ গ্রামে ঢোকার খবর পেয়েই তারা এলাকা ছেড়ে পালায় ৷ ফেলে যেতে হয় মাদক সামগ্রী ৷ পুলিশ ওই বাগানে অভিযান চালিয়ে 2 কিলো 514 গ্রাম উন্নত মানের ব্রাউন সুগার উদ্ধার করে ৷ এই মাদক একটি স্টিলের কন্টেনারে রাখা ছিল ৷ উদ্ধার হওয়া ব্রাউন সুগারের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় চার কোটি টাকা বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ৷

কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, "আজ ভোরে ইমাম জায়গির গ্রামের একটি লিচু বাগানে অভিযান চালিয়ে আড়াই কিলোরও বেশি ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে ৷ খোলা বাজারে এর দাম প্রায় চার কোটি টাকা ৷ তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা যায়নি ৷ এই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷ কে বা কারা এই মাদক সেখানে নিয়ে গিয়েছিল, সেখানে কোনও ক্রেতা ছিল কি না, সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.