কলকাতা, 25 ফেব্রুয়ারি: ছোটবেলায় হারিয়েছিলেন বাবা-মা'কে। বিয়ের আগেই সহায় সম্বল বলতে যা কিছু ছিল তাও গেল। রবিবার আনন্দপুরের অগ্নিকাণ্ড অসহায়তার সামনে দাঁড় করাল অষ্টাদশী দীপা হালদারকে। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগর থেকে আনন্দপুরে চলে এসেছিলেন দীপা। এখানে দাদু বিধুভূষণ নস্করের কাছে থেকেই পড়াশোনা এবং তাঁর বেড়ে ওঠা। দাদু অনেক কষ্ট করেই আগামী 4 মার্চ তাঁর বিয়ের আয়োজন করছিলেন। কিন্তু রবিবারের আগুন এক লহমায় সব স্বপ্নকে ছারখার করে দিল দীপার। এখন তাঁর সামনে চ্যালেঞ্জ কীভাবে আবার ছোট নাতনির বিয়ের ব্যবস্থা হাতে গোনা কয়েকদিনের মধ্যে সম্পন্ন করবেন !
এদিন ইটিভি ভারতের ক্যামেরার সামনে বিধুভূষণ নস্কর বলেন, "ছোট নাতনিকে নিয়ে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম ৷ তখনও জানতাম না এই ঘটনা ঘটবে। ফিরে এসে শুনলাম আগুনের কথা ৷ কিছু বোঝার আগেই সব শেষ। জামাকাপড়, সোনার গয়না থেকে সবকিছু কয়েক মিনিটের আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে আজ। ফলে বুঝতে পারছি না এই মুহূর্তে কী করব।"
একইভাবে কিছুটা হতাশার সুর দীপার গলাতেও। তিনি জানান, কম সময়ের মধ্যে এত বড় আঘাত যে আসবে তা ভাবা যায়নি। শুধুমাত্র আজ কেনাকাটা করার সময় যে ক'টি জিনিস তাদের কাছে রয়েছে, তাছাড়া সমস্ত কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে তাদের ঘর, আসবাব, থালা-বাসন, গ্যাস থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই। ফলত বিয়ের আগে কার্যত খোলা আকাশের নীচে এসে দাঁড়িয়েছে দীপা এবং তাঁর পরিবার। আর তাই সে বুঝতে পারছে না এত বড় ধাক্কা তাঁর দাদু আর পরিবার কীভাবে কাটিয়ে উঠবে।
এদিন দীপার দাদু অবশ্য স্থানীয় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কারণ, এই বিপদের সময় তিনি পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এর বাইরে অবশ্য কী-ই বা করার আছে তাদের ! কারণ অসহায়তার কারণে যখন খোলা আকাশের নীচে স্থান হয়েছে তাদের, তখন নাতনির বিয়েই এখন তাঁর কাছে প্রধান ভাবনার বিষয়। তাই যে যা-ই সাহায্য করুক, সব কিছুকেই স্বাগত জানাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: