কলকাতা, 2 মার্চ: চলতি বছর নরেন্দ্র মোদির প্রথম বঙ্গ সফরের আজ দ্বিতীয় দিন ৷ প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকাল সাড়ে ন'টা নাগাদ রাজভবন থেকে কৃষ্ণনগরের উদ্দেশে রওনা দেবেন ৷ সেখানে সরকারি কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও সমাবেশ শেষে পানাগড় হয়ে চলে যাবেন বিহারে ৷ তার আগে রাজভবনে প্রাতঃরাশ সারলেন তিনি ৷ প্রাতঃরাশ সেরে নির্দিষ্ট সময়েই কৃষ্ণনগরের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি ৷ সেখানে বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করে জনসভায় যোগ দেবেন তিনি ৷
সূত্রের খবর, তার জন্য রাজভবনে রান্নাঘরে একাধিক পদের আয়োজন হয়েছিল ৷ সেদ্ধ সবজি থেকে একাধিকবার ফলের রস ও চা পান করেছেন নরেন্দ্র মোদি ৷ বিহারে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত তিনি আর কিছু খাবেন না বলেই সূত্রের দাবি ৷ তাই প্রাতঃরাশেই ব্যবস্থা থাকছে একাধিক খাবারের ৷
প্রাতঃরাশে মোদির খাদ্য তালিকা: ফলের রস, মিসক্সড ফ্রুট, বয়েলড ভেজিটেবল, পোহা, উপমা, ইডলি সাম্বার সঙ্গে চাটনি, মেথির পরোটা, কড়াইশুটির কচুরি, আলুর দম, ব্রেড বাটার ও চা ৷ শুক্রবার সকাল থেকেই নিরাপত্তা থেকে রাজভবনের রান্নাঘর, সব কিছুই এসপিজির কড়া নজরদারিতে ছিল ৷ রাজভবনের কর্মীরাও এসপিজির অঙ্গুলিহেলনে চলতে বাধ্য হয়েছেন বলেই খবর ৷
এই প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য রান্না হয়েছে কলকাতা রাজভবনে ৷ রাজভবন সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে দু'দফায় রাতের খাবার খেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ স্টার্টার বা প্রথম ধাপে খান চা, সিঙারা ও ভেজ পকোড়া ৷ তারপরই মেইন কোর্স বা দ্বিতীয় দফায় ভারী খাবার গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তার জন্য ভেজ খিচুড়ি, মিক্সড ভেজ সুপ, রুটি, তুরডাল ফ্রাই, প্লেন রাইস, আলু-পটল সবজি, আলু গোবি, পোস্তর বড়া স্যালাড, পাঁপড়, দই-সন্দেশের আয়োজন ছিল ৷ এই খাবারগুলি এসপিজির কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে সরবরাহ করেন ৷ একই ভাবে প্রাতঃরাশও সরবরাহ করা হবে ৷
প্রাতঃরাশ সেরে তিনি রাজভবন থেকে সড়কপথে পৌঁছে যাবেন আরসিটিসি হেলিপ্যাডে ৷ সকাল 9টা 40 মিনিট নাগাদ কৃষ্ণনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ আকাশ পথে 40 মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবেন নদিয়া জেলায় ৷ এখানে সরকারি কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন সেরে দলীয় সভায় যোগ দেবেন ৷ তারপর কৃষ্ণনগর থেকে পানাগড় হয়ে বায়ুসেনার বিমানে পৌঁছে যাবেন বিহারে ৷
আরও পড়ুন: