কৃষ্ণনগর, 17 মার্চ: লোকসভা ভোটে কাঠি পড়তে না পড়তেই তৃণমূলের সংঘ্যালঘু সেলের নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ । দলীয় শত্রুতা নাকি এটি বিরোধীদের কাজ বুঝেই উঠতে পারছেন না খোকন খান ৷ তবে ঘটনায় চরম আতঙ্কিত তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা । ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার আমিনবাজার এলাকায় ।
বোমাবাজির বিষয়ে জেলা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের খোকন খান বলেন, "আমি হঠাৎ করে বোমের আওয়াজ পেয়ে বাইরে ছুটে আসি । তবে এই ঘটনা দলের কেউ ঘটিয়েছে নাকি বিরোধীরা আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না । আমি দলের উচ্চপদস্থ নেতৃত্বদের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেছি । তাঁরা আজ পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন । পুলিশ তদন্ত করছে ৷ তদন্তের পরেই স্পষ্ট হবে কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত । তবে তদন্ত চলাকালীন আমি কিছু মন্তব্য করতে চাই না ।"
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্ব সামলেছেন খোকন খান । শনিবার প্রতিদিনের মতো রাতে খাওয়া দাওয়া করে বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি ৷ হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পান । বাইরে এসে দেখেন পুরো বাড়িটা ধোঁয়ায় ভরতি হয়ে গিয়েছে । এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে ৷ ঘটনাস্থলে আসে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ আধিকারিকরা । পুলিশ বোমার পড়ে থাকা অংশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় । তবে বোমাবাজি হওয়ার পরে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে বলে খবর । এই ঘটনার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায় ।
এ বিষয়ে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি মিডিয়া কনভেনার সন্দীপ মজুমদার বলেন, "যতদিন এগিয়ে আসবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ তত বাড়বে । ওই তৃণমূল নেতার বক্তব্য শুনে বোঝা যাচ্ছে তাদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে । ভাগাভাগি নিয়ে এই ঝামেলা তা পরিষ্কার ৷ কে বেশি ভাগ পাবে তা নিয়েই ওদের ভেতরে লড়াই চলে । এই বোমাবাজির সঙ্গে বিজেপির কোনো সম্পর্ক নেই ।"
আরও পড়ুন: