ETV Bharat / state

বাড়িতে এল দেহ ! ট্রেনি চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে সোদপুর - FEMALE DOCTOR MYSTERIOUS DEATH

Body of Female PGT Doctor Mysteriously Found: আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে রহস্য ক্রমশ দানা বাঁধছে ৷ সোদপুরের বাড়িতে দেহ পৌঁছতেই কান্নার রোল ৷ দোষীদের শাস্তির দাবিতে ক্ষোভে ফুঁসছেন পরিবার থেকে প্রতিবেশী সকলেই ৷

Body of Female PGT Doctor Mysteriously Found
ট্রেনি চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 9, 2024, 11:03 PM IST

ব‍্যারাকপুর, 9 অগস্ট: ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার রাতে আরজি কর হাসপাতালের ট্রেনি চিকিৎসকের দেহ এসে পৌঁছল সোদপুরের বাড়িতে ৷ এদিন ঘোলা থানার পুলিশ এসকর্ট করে শববাহী গাড়িটি নিয়ে আসে নাটাগড়ে ওই তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে । রাত ন'টা চল্লিশ মিনিট নাগাদ মরদেহ পৌঁছতেই এলাকায় ওঠে কান্নার রোল।

মেয়ের মরদেহের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তরুণীর বাবা-মা । নিহতের বাড়িতে যান পানিহাটির বিধায়ক তথা বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, স্থানীয় কাউন্সিলর সোমনাথ দে-সহ আরও অনেকে । শান্ত ও মিশুকে স্বভাবের এই ট্রেনি চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় প্রত‍্যেকেই চাইছেন উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হোক । সেদিকেই এখন তাকিয়ে সকলে ।

সোদপুরের নাটাগড়ের বাসিন্দা এলাকায় কৃতি ছাত্রী হিসেবেই পরিচিতি । শান্ত ও মিশুকে স্বভাবের ছিলেন বছর ঊনত্রিশের এই চিকিৎসক । আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হলে শুক্রবার তাঁর ক্ষতবিক্ষত অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । পাড়ার মেয়ের এভাবে মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না বাসিন্দারা । তাই এদিন চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই একে একে এলাকার অনেকেই যেতে শুরু করেছেন আরজি করে ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চিকিৎসকের বাবা পেশায় বস্ত্র ব্যবসায়ী, মা গৃহবধূ । দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিলেন । তাঁদের আদিবাড়ি ছিল সোদপুর মহেন্দ্রনগরে । পরবর্তীতে তাঁরা নাটাগড়ে এসে বসবাস শুরু করেন । বরাবরই মেধাবী ছাত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন ৷ এমবিবিএস নিয়ে পড়াশুনো করে বর্তমানে আরজি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দ্বিতীয় বর্ষের স্নাতকোত্তর ট্রেনি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিন বাড়ি থেকে হাসপাতালে যাতায়াত করতে সম্প্রতি চারচাকা গাড়িও কিনেছিলেন । বৃহস্পতিবার রাতে আরজি করে কাজে যোগ দিতে গাড়ি নিয়েই গিয়েছিলেন । এরপর এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ তাঁর বাড়িতে ফোন আসলে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের মর্মান্তিক পরিণতির কথা জানতে পারেন ।
তৃণমূল কাউন্সিলর সোমনাথ দে পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলও । তাঁর সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ মৃতার পরিবার । মৃত্যুর খবর পেয়ে বিধায়ক নির্মল ঘোষের সঙ্গে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। তিনি বলেন,"ওর বাবাকে হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলা হয়েছিল মেয়ে খুবই অসুস্থ । এই খবর পেয়ে আমরা গিয়ে দেখি অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে মৃতদেহ । গলায় আঘাতের চিহ্ন । মুখে রক্তের দাগ । হাত-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতের চিহ্ন । এই মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না । দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি ।" এদিকে, মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফোনে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।

ব‍্যারাকপুর, 9 অগস্ট: ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার রাতে আরজি কর হাসপাতালের ট্রেনি চিকিৎসকের দেহ এসে পৌঁছল সোদপুরের বাড়িতে ৷ এদিন ঘোলা থানার পুলিশ এসকর্ট করে শববাহী গাড়িটি নিয়ে আসে নাটাগড়ে ওই তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে । রাত ন'টা চল্লিশ মিনিট নাগাদ মরদেহ পৌঁছতেই এলাকায় ওঠে কান্নার রোল।

মেয়ের মরদেহের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তরুণীর বাবা-মা । নিহতের বাড়িতে যান পানিহাটির বিধায়ক তথা বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, স্থানীয় কাউন্সিলর সোমনাথ দে-সহ আরও অনেকে । শান্ত ও মিশুকে স্বভাবের এই ট্রেনি চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় প্রত‍্যেকেই চাইছেন উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হোক । সেদিকেই এখন তাকিয়ে সকলে ।

সোদপুরের নাটাগড়ের বাসিন্দা এলাকায় কৃতি ছাত্রী হিসেবেই পরিচিতি । শান্ত ও মিশুকে স্বভাবের ছিলেন বছর ঊনত্রিশের এই চিকিৎসক । আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হলে শুক্রবার তাঁর ক্ষতবিক্ষত অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । পাড়ার মেয়ের এভাবে মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না বাসিন্দারা । তাই এদিন চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই একে একে এলাকার অনেকেই যেতে শুরু করেছেন আরজি করে ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চিকিৎসকের বাবা পেশায় বস্ত্র ব্যবসায়ী, মা গৃহবধূ । দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিলেন । তাঁদের আদিবাড়ি ছিল সোদপুর মহেন্দ্রনগরে । পরবর্তীতে তাঁরা নাটাগড়ে এসে বসবাস শুরু করেন । বরাবরই মেধাবী ছাত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন ৷ এমবিবিএস নিয়ে পড়াশুনো করে বর্তমানে আরজি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দ্বিতীয় বর্ষের স্নাতকোত্তর ট্রেনি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিন বাড়ি থেকে হাসপাতালে যাতায়াত করতে সম্প্রতি চারচাকা গাড়িও কিনেছিলেন । বৃহস্পতিবার রাতে আরজি করে কাজে যোগ দিতে গাড়ি নিয়েই গিয়েছিলেন । এরপর এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ তাঁর বাড়িতে ফোন আসলে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের মর্মান্তিক পরিণতির কথা জানতে পারেন ।
তৃণমূল কাউন্সিলর সোমনাথ দে পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলও । তাঁর সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ মৃতার পরিবার । মৃত্যুর খবর পেয়ে বিধায়ক নির্মল ঘোষের সঙ্গে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। তিনি বলেন,"ওর বাবাকে হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলা হয়েছিল মেয়ে খুবই অসুস্থ । এই খবর পেয়ে আমরা গিয়ে দেখি অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে মৃতদেহ । গলায় আঘাতের চিহ্ন । মুখে রক্তের দাগ । হাত-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতের চিহ্ন । এই মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না । দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি ।" এদিকে, মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফোনে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.