হাওড়া, 21 নভেম্বর: এবার ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেসে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, প্রতিবন্ধী কামরায় মিলেছে হাওড়ার বালির ঘোষপাড়া বাসিন্দা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নামে এক তবলা বাদকের দেহ।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে স্পষ্ট। তাঁর বুকে ও পেটে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে ৷ তা থেকেই প্রাথমিক অনুমান, তাঁকে খুন করা হয়েছে। মঙ্গলবার হাওড়া স্টেশনে কাটিহার এক্সপ্রেস ঢুকলে দেখা যায়, কামরার আপার বার্থে এক যাত্রীর চাদর চাপা দেহ। জিআরপি ও আরপিএফ আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে ৷ রেলের তরফে স্বতপ্রণোদিত মামলা শুরু করেছে হাওড়া জিআরপি । ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ।
যদিও এখনও পূর্ব রেলের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনওরকম বক্তব্য জানানো হয়নি। তবে এই ঘটনার জেরে ফের একবার রেলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েই বড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। রেল যাত্রা কতটা নিরাপদ, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন ৷ যাত্রা করার সময় রেলের কামরা এক যাত্রীকে খুন করে দেওয়া হয়, আর সেই ঘটনা অন্য কোনও যাত্রীরা টের পেলেন না ৷ কিংবা ট্রেন চলাকালীন যারা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের কাছেও কোনও খবর নেই ৷ এমনটা যথেষ্ট উদ্বেগের বলে মনে করেছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে ওই ব্যক্তিকে কোথায় খুন করা হয়েছে কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশায় রয়েছে পুলিশ এবং রেল কর্তৃপক্ষের।
রেল বিভিন্ন সময় যাত্রীদের নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করা যারা জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করে ৷ ট্রেনের কামরাতেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ৷ কিন্তু এমন খুনের ঘটনা ঘটে গেলেও কেন জানতে পারল না আরপিএফ ? তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন ৷ জানা গিয়েছে, ট্রেন ঢোকার পর হাওড়া স্টেশনের দায়িত্ব থাকা আরপিএফ কর্মীরা যখন ট্রেন সার্চ করছিলেন, সেই সময় তাঁদের চোখে পড়ে দেহটি ৷