কালীগঞ্জ, 2 জুন: রাজ্যের শেষ দফার ভোট মিটতেই নদীয়ায় খুন হলেন বিজেপি কর্মী। নৃশংসভাবে ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ মৃত বিজেপি কর্মীর নাম হাফিজুল শেখ। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা পরপর দুটি গুলি করে খুন করার পর হাফিজুলের মাথা কেটে নিয়ে চলে যায় ৷
লোকসভা ভোট শেষ হতেই ফের ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠল ৷ এবার ভোট পরবর্তী হিংসার বলি কালীগঞ্জের এক বিজেপি কর্মী ৷ সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের আগে হাফিজুলের নেতৃত্বে এলাকায় সংখ্যালঘুরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনেও ওই এলাকায় বিজেপি বেশ ভালোভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল বলেও দাবি ৷ আর তারই পরিণাম হিসাবেই হাফিজুলকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। ইতিমধ্যেই মৃত হাফিজুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তর দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত প্রায় 10 থেকে 11 জনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিও করা হয়েছে পরিবারের তরফে।
এই বিষয়ে মৃত হাফিজুল শেখের দাদা জয়েন উদ্দিন মোল্লা বলেন, "এর আগে আমরা সকলেই সিপিএম করতাম। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের পর আমরা বিজেপিতে যোগদান করি। আর সেই কারণেই আমার ভাইকে খুন করল দুষ্কৃতীরা।" তিনি আরও বলেন, "আমার ভাই সেই সময় খেলছিল। সকলের সামনেই দুষ্কৃতীরা এসে আমার ভাইকে পরপর দুই রাউন্ড গুলি করে। পরে মাথাটাও কেটে নিয়ে চলে যায়।" এখানেই থেমে থাকেনি দুষ্কৃতীরা, অভিযোগ এরপর এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজিও চালানো হয় ৷ পাশাপাশি এই ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মৃতের দাদা।
অন্যদিকে, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নদীয়া উত্তরের বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, "এই এলাকায় হাফিজুল শেখ এবং তার দাদার নেতৃত্বে বিজেপির শক্তি অনেকটাই বেড়েছিল। সেই কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হাফিজুল শেখকে খুন করেছে। আর এই ঘটনায় রয়েছে পুলিশের মদত। আমরা অবিলম্বে যারা দোষী তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।" দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার না করা হলে, আগামী দিনে বিজেপি বড়সড়ো আন্দোলনে নামবে বলেও জানান তিনি।