আলিপুরদুয়ার, 20 জানুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগেই খুলে গেল আলিপুরদুয়ারের তিনটি বন্ধ চা-বাগান । আলিপুরদুয়ার জেলায় কালচিনি, তোর্সা ও রায়মাটাং চা-বাগান খুলে গেল সোমবার । এর ফলে মুখে হাসি ফুটল তিনটি চা-বাগানের কয়েক হাজার শ্রমিকের । এদিন ফিতে কেটে চা-বাগানের খোলার সূচনা করেন রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক ও মাদারিহাট-বীরপাড়ার বিধায়ক জয়প্রকাশ টপ্পো ।
এদিন রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, "আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি, রায়মাটাং আজ থেকে খুলে গেল ৷ পাশাপাশিই তোর্সা চা-বাগানও খুলে গেল আজ । হঠাৎ করে চা-বাগান ছেড়ে মালিকপক্ষ চলে গিয়েছেন । চা-বাগান বন্ধের তিনমাস দেখা হবে, তারপর তার মালিকানা রোধ হবে । বাগান বন্ধ করা যাবে না । মুখ্যমন্ত্রী ও শ্রমমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই । আগামিকাল থেকে কাজ শুরু হয়ে যাবে চা-বাগানে । বেতন-সহ শ্রমিকদের দেনা-পাওনা বকেয়া রাখা যাবে না, সেটা মালিকপক্ষকে বলা হয়েছে । সঠিক সময়ে শ্রমিকদের বকেয়া দিয়ে দিতে হবে । আজ দলমোড় নিয়ে বৈঠক হচ্ছে । আগামিকাল মেচপাড়া চা বাগানও খুলে যাবে বলে আশা করছি ।"
আলিপুরদুয়ার জেলার প্রায় পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে তোর্সা চা-বাগান বন্ধ থাকার পর আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বাগান খুলে যায় । নতুন মালিক আজ বাগানে প্রবেশ করে । গত বছর অগস্ট মাস থেকে বন্ধ তোর্ষা চা-বাগান । বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়ে তোর্সা চা-বাগানের 662 জন শ্রমিক । চারটি বেতন বকেয়া রেখে চলে যায় বাগান কর্তৃপক্ষ ।
অবশেষে আজ চা-বাগান খুলে যাওয়ায় খুশি বাগান চা-শ্রমিকরা । নতুন মালিকপক্ষের থেকে চিন্ময় ধর বলেন, "দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে আমরা বাগানে এসেছি । খুব শীঘ্র শ্রমিকদের সব প্রাপ্য বকেয়া প্রদান করা হবে । সমস্ত সমস্যা সমাধান হবে ।" চা বাগান মালিকপক্ষের সংগঠন টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (টিএআই) সম্পাদক সুমিত ঘোষ বলেন, "মেচ পাড়া চা-বাগান নিয়ে আগামিকাল বৈঠক আছে । আলোচনা ফলপ্রসু হলে বাগান খুলে যাবে ।"