ETV Bharat / state

নীতি আয়োগের ঘটনায় তোলপাড় বিধানসভা, তৃণমূল প্রস্তাব আনতেই ওয়াকআউট বিজেপির - Ruckus in Assembly

Ruckus in Assembly: নীতি আয়োগের ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত হল বিধানসভা ৷ তৃণমূল কংগ্রেস এদিন বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব আনলে হইচই শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা ৷ তাঁরা প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ওয়াক আউট করেন ৷

ETV BHARAT
বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 29, 2024, 12:07 PM IST

Updated : Jul 29, 2024, 1:59 PM IST

কলকাতা, 29 জুলাই: কলকাতা, 29 জুলাই: নীতি আয়োগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠরোধ করার অভিযোগ এনে বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস সরব হবে এটা ঠিকই ছিল ৷ সেই মতোই সপ্তাহের প্রথম দিনে ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিধানসভায় বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব আনল রাজ্যের শাসকদল । এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে পালটা সুর চড়িয়ে স্লোগান দেয় বিজেপি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিধানসভা থেকে ওয়াকআইট করেন বিজেপি বিধায়করা ৷

নীতি আয়োগের ঘটনায় তোলপাড় বিধানসভা (নিজস্ব চিত্র)

এদিন অধিবেশনের শুরুতে নীতি আয়োগের ঘটনা নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া । তিনি বলেন, "মমতাকে বলতে না-দিয়ে অপমান করা হয়েছে নীতি আয়োগে ৷ তিনি রাজ্যগুলির বৃহত্তর স্বার্থে সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ৷ তিনি বলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে এবং এই রাজ্যগুলির কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির জন্য চলতি বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে তহবিল বরাদ্দ করা হয়নি ৷"

তিনি আরও বলেন, "ওই বৈঠকে অন্যান্য ছোট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা প্রায় 14-20 মিনিট কথা বলেছেন, কিন্তু আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে 5 মিনিটের বেশি কথা বলতে দেওয়া হয়নি । তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর বক্তৃতা চালিয়ে যাওয়া থেকে বিরত করা হয়েছিল এবং বিরোধী দৃষ্টিকোণকে স্তব্ধ করার প্রয়াসে তাঁর মাইক্রোফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যা তাঁর জন্য একটি বড় অপমান । এই কক্ষের মাননীয় নেত্রীর প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে তার জন্য এই কক্ষ তাঁর যন্ত্রণা অনুভব করে ৷"

মানস ভুঁইয়ার এই বক্তব্যের সময়ই হইচই শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা ৷ মানস ভুঁইয়ার আনা প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে যা বলেছেন, তার উপর ভিত্তি করে আলোচনা হয় না । এটা সত্যের অপলাপ । ভিতরে কী হয়েছে তা বলে দিয়েছেন নির্মলা সীতারামন । আমরা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছি ।"

বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সুপরিকল্পিত মিথ্যাচার করা হচ্ছে । তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) তাঁর ভাইপোকে (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) সেটিং করতে গিয়েছিলেন । তাতে ব্যর্থ হয়েছেন । এখন বলছেন মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে যাওয়ার আগেই বলেছিলেন নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করবেন । সেই মতোই সবকিছু করা হয়েছে ।"

বিজেপির তরফ থেকে এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে এদিন বক্তব্য রাখেন মূলত শঙ্কর ঘোষ, শিখা চট্টোপাধ্যায় ও দীপক বর্মন । তাঁরা মূলত এই প্রস্তাব আনার বিরোধিতা করেছেন । অন্যদিকে, শাসক দলের তরফ থেকে বক্তব্য রাখেন অরূপ বিশ্বাস, নির্মল ঘোষ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, উদয়ন গুহ, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আর মানস ভুঁইয়া । এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, "নীতি নেই, তার আবার আয়োগ ৷ ওরা মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনতে ভয় পাচ্ছে, তাই মাইক বন্ধ করে দিয়েছে ৷"

এরপর তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, "সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে যেভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে, এর বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে নীতি আয়োগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে । বাংলা এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে ।" নির্মল ঘোষের বলার পর বলতে ওঠেন মনোজ ওঁরাও। তিনি এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বলতে উঠে হইচই করতে শুরু করেন । তখন অধ্যক্ষ বলেন, "আমি আপনাদের বলার সুযোগ দিয়েছি । আপনারা হইচই করছেন । এমনটা চলতে পারে না ।" তবে অধ্যক্ষ চুপ করতে বললেও সে কথা না শুনে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা ৷ এরপর তাঁরা বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন ।

এরপরে বলতে উঠে অর্থ প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, "বিরোধিরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যাচার করেছেন । প্রথমবার রাজ্যের মানুষের হয়ে বলতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । আগে একবার আমাকে পাঠাতে চেয়েছিলেন । কিন্তু আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি । এবার দেখা গেল বিহারের মন্ত্রীকে অনুমতি দেওয়া হল । কেন এই দ্বিচারিতা !"

কলকাতা, 29 জুলাই: কলকাতা, 29 জুলাই: নীতি আয়োগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠরোধ করার অভিযোগ এনে বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস সরব হবে এটা ঠিকই ছিল ৷ সেই মতোই সপ্তাহের প্রথম দিনে ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিধানসভায় বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব আনল রাজ্যের শাসকদল । এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে পালটা সুর চড়িয়ে স্লোগান দেয় বিজেপি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিধানসভা থেকে ওয়াকআইট করেন বিজেপি বিধায়করা ৷

নীতি আয়োগের ঘটনায় তোলপাড় বিধানসভা (নিজস্ব চিত্র)

এদিন অধিবেশনের শুরুতে নীতি আয়োগের ঘটনা নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া । তিনি বলেন, "মমতাকে বলতে না-দিয়ে অপমান করা হয়েছে নীতি আয়োগে ৷ তিনি রাজ্যগুলির বৃহত্তর স্বার্থে সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ৷ তিনি বলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে এবং এই রাজ্যগুলির কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির জন্য চলতি বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে তহবিল বরাদ্দ করা হয়নি ৷"

তিনি আরও বলেন, "ওই বৈঠকে অন্যান্য ছোট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা প্রায় 14-20 মিনিট কথা বলেছেন, কিন্তু আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে 5 মিনিটের বেশি কথা বলতে দেওয়া হয়নি । তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর বক্তৃতা চালিয়ে যাওয়া থেকে বিরত করা হয়েছিল এবং বিরোধী দৃষ্টিকোণকে স্তব্ধ করার প্রয়াসে তাঁর মাইক্রোফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যা তাঁর জন্য একটি বড় অপমান । এই কক্ষের মাননীয় নেত্রীর প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে তার জন্য এই কক্ষ তাঁর যন্ত্রণা অনুভব করে ৷"

মানস ভুঁইয়ার এই বক্তব্যের সময়ই হইচই শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা ৷ মানস ভুঁইয়ার আনা প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে যা বলেছেন, তার উপর ভিত্তি করে আলোচনা হয় না । এটা সত্যের অপলাপ । ভিতরে কী হয়েছে তা বলে দিয়েছেন নির্মলা সীতারামন । আমরা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছি ।"

বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সুপরিকল্পিত মিথ্যাচার করা হচ্ছে । তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) তাঁর ভাইপোকে (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) সেটিং করতে গিয়েছিলেন । তাতে ব্যর্থ হয়েছেন । এখন বলছেন মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে যাওয়ার আগেই বলেছিলেন নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করবেন । সেই মতোই সবকিছু করা হয়েছে ।"

বিজেপির তরফ থেকে এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে এদিন বক্তব্য রাখেন মূলত শঙ্কর ঘোষ, শিখা চট্টোপাধ্যায় ও দীপক বর্মন । তাঁরা মূলত এই প্রস্তাব আনার বিরোধিতা করেছেন । অন্যদিকে, শাসক দলের তরফ থেকে বক্তব্য রাখেন অরূপ বিশ্বাস, নির্মল ঘোষ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, উদয়ন গুহ, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আর মানস ভুঁইয়া । এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, "নীতি নেই, তার আবার আয়োগ ৷ ওরা মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনতে ভয় পাচ্ছে, তাই মাইক বন্ধ করে দিয়েছে ৷"

এরপর তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, "সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে যেভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে, এর বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে নীতি আয়োগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে । বাংলা এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে ।" নির্মল ঘোষের বলার পর বলতে ওঠেন মনোজ ওঁরাও। তিনি এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বলতে উঠে হইচই করতে শুরু করেন । তখন অধ্যক্ষ বলেন, "আমি আপনাদের বলার সুযোগ দিয়েছি । আপনারা হইচই করছেন । এমনটা চলতে পারে না ।" তবে অধ্যক্ষ চুপ করতে বললেও সে কথা না শুনে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা ৷ এরপর তাঁরা বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন ।

এরপরে বলতে উঠে অর্থ প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, "বিরোধিরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যাচার করেছেন । প্রথমবার রাজ্যের মানুষের হয়ে বলতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । আগে একবার আমাকে পাঠাতে চেয়েছিলেন । কিন্তু আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি । এবার দেখা গেল বিহারের মন্ত্রীকে অনুমতি দেওয়া হল । কেন এই দ্বিচারিতা !"

Last Updated : Jul 29, 2024, 1:59 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.