বসিরহাট, 24 মার্চ: সন্দেশখালি! রাজ্য রাজনীতিতে এখন হট-টপিক। সেই সন্দেশখালির ছা-পোষা, সাদামাটা গৃহবধূ রেখা পাত্রকেই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে টিকিট দিল গেরুয়া শিবির। যা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। রবিবার রাতে ভারতীয় জনতা পার্টির যে বাংলার দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হয়েছে তাতে নাম রয়েছে সন্দেশখালিকাণ্ডের আন্দোলনে অংশ নেওয়া এই রেখা পাত্রের। তাঁকে লড়তে হবে তৃণমূলের ভূমিপুত্র, দীর্ঘদিনের রাজনীতিক-বিধায়ক এবং প্রাক্তন সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের সঙ্গে। অনেকে একে গেরুয়া শিবিরের মাস্টারস্ট্রোক হিসেবেও দেখছেন।
কারণ, সন্দেশখালির পালে হাওয়া আনতে এবং তার সুফল ভোটে পেতে সেখানকার স্থানীয় মহিলাকেই প্রার্থী করে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছেন দিল্লির বিজেপি নেতারা। সেকারণেই রেখা পাত্রকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি প্রার্থী হিসেবে বেছে নিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
- জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির পাত্রপাড়ায় বাড়ি রেখার। স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং তিন মেয়েকে নিয়ে তাঁর সংসার। যদিও, সংসারের টানে রেখার স্বামীকে কাজের সূত্রে যেতে হয়েছে ভিন রাজ্যে। সেখানেই রাজমিস্ত্রির কাজ করেন তিনি। স্বামীর আয়েই কোনওরকমে সংসার চলছে রেখাদে'র। সংসার সামলে তিনিও আর পাঁচজনের মতো গিয়েছিলেন শাহজাহান, শিবু এবং উত্তমদে'র অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হতে ৷
- মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে নেমেছিলেন আন্দোলনেও। তাঁদের লাগাতার ক্ষোভ-বিক্ষোভে সেই সময় জ্বলে উঠেছিল সন্দেশখালি। যা সামাল দিতে গিয়ে বেগ পেতে হয়েছিল পুলিশকেও। শেষে গ্রামের মহিলাদের আন্দোলনের চাপে প্রশাসন সহায়তা কেন্দ্র খুলে শাহজাহান, শিবু, উত্তম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় থানাতেও শাহজাহান এবং তার বাহিনীর বিরুদ্ধেও একের পর এক নারী নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন বেশ কয়েকজন নির্যাতিতা মহিলা।
- তাঁদের মধ্যে ছিলেন এই রেখা পাত্রও। ন্যাজাটে সুকান্ত-শুভেন্দুদে'র সভাতেও দেখা গিয়েছিল রেখাকেও। তখন থেকেই বিজেপি নেতৃত্বের সুনজরে পড়ে যান তিনি। যার ফলস্বরূপ তাঁকে হাইভোল্টেজ বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করল গেরুয়া শিবির। সবমিলিয়ে, বসিরহাট কেন্দ্রে এবার জমজমাট লড়াই হবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন: