জলপাইগুড়ি, 27 জুলাই: তৃণমূলের ইন্দো-ভুটান যৌথ রিভার কমিশনের প্রস্তাবকে সমর্থন করলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়। রাজ্য বিধানসভায় ভুটানের নদী থেকে হওয়া বন্যা রোধে ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন তৈরির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে শুক্রবার ৷ আগামী 29 তারিখ বিস্তারিত আলোচনা হবে বিধানসভায়। বক্তব্য পেশ করবেন মুখ্যমন্ত্রীও। সেই প্রস্তাবকে এবার সমর্থন করলেন বিজেপি সাংসদ। জয়ন্ত রায়ের মতো সব বিরোধী বিধায়ককে পাশে চেয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।
জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়ও ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন চাইছেন। তাঁর মতে, এই কমিশন হলে এখানকার মানুষের জন্য ভালো হবেই। তাঁর কথায়, "নিশ্চয়ই আমাদের সমর্থন থাকবে। কমিশনের নামে পয়সা এদিকে-ওদিক হবে এটা মানব না। ভুটনা সংলগ্ন নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছে। ফলে বন্যা হচ্ছে। ভুটান আমাদের বন্ধু দেশ ৷ ভুটানের সঙ্গে আলোচনা করে একটা স্থায়ী সমাধান বের করুক যাতে এখানে বন্যা না হয়।"
আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, "গোটা বিষয়টি ডুর্য়াসের অস্তিত্ব রক্ষার সঙ্গে জড়িয়ে। ভুটান থকে নেমে আসা নদীর জলে এলাকা তছনছ হয় প্রতিবার। আমি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে আহ্বান করছি। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে যদি এটা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আমাদের এই ভুখণ্ড বেঁচে যাবে ৷ জয়ন্ত কুমার রায়ের ভুমিকাকে সাধুবাদ জানাই। একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে আমরা এটাই আশা করি। আমার একান্ত অনুরোধ তাঁর পথ অনুসরণ করে অন্যরাও যেন বিধানসভায় একই মত পোষণ করেন ।"
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা নদীর জলে ভাসে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির একাংশ। বর্ষাকালে ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা নদীর তাণ্ডবে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়ে এলাকা । সংরক্ষিত জঙ্গল, কৃষিজমি, এমনকী জাতীয় উদ্যান পর্যন্ত জলের তোড়ে বিপাকে পড়ে।
বিষয়টি বিধানসভায় উল্লেখ করেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক তথা বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান সুমন কাঞ্জিলাল ৷ যেহেতু বিষয়টি আন্তর্জাতিক বিষয় সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের পদক্ষেপ করা দরকার বলেও মনে করেন তিনি। আর সেখানেই ইন্দো-ভুটান যৌথ নদী কমিশন গঠন করা উচিৎ বলেও জানান তিনি। সেই বিষয়েই আগামী 29 তারিখ মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করবেন বিধানসভায়। তার আগেই সমর্থন করার কথা জানালেন বিজেপি সাংসদ ।
বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, "গোটা বিষয়টি আমাদের গোটা ডুয়ার্সের অস্তিত্ব রক্ষার বিষয়। ভুটান থেকে নেমে আসা নদীর জেরে তছনছ হয় প্রতিবার।"