খড়গপুর, 15 ফেব্রুয়ারি: "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন সন্দেশখালি যাচ্ছেন না ?" এমনই প্রশ্ন তুললেন বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ তৃণমূলের দাপুটে নেতা শেখ শাহাজাহান ফেরার ৷ ইডি অভিযানের পর থেকে একের পর এক ঘটনায় উত্তপ্ত সন্দেশখালি তথা রাজ্য রাজনীতি ৷ 5 জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ইডি ৷ সেদিন থেকে ফেরার শেখ শাহাজাহান ৷ কারও কারও অনুমান তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছেন ৷ এদিকে আড়াল থেকেই জামিনের আবেদনও করেছেন তিনি ৷ বিরোধী দলগুলি বারবার শেখ শাহাজাহানকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছে ৷ এমনকী পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে ৷
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, "দিন কয়েক আগে প্রশ্ন উঠেছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন মণিপুরে যাচ্ছেন না ? এদিকে মণিপুরের চেয়েও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটছে সন্দেশখালিতে ৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ওখানে যাচ্ছেন না ৷ তৃণমূলের কোনও মন্ত্রী বা কোনও নেতাও সন্দেশখালিতে গিয়ে সেখানকার মানুষদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন না ৷ কী লুকোতে চাইছে তৃণমূল সরকার ? স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, শাহজাহানের মতো লোকেদের নেপথ্য থেকে সমর্থন করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁচিয়ে রেখেছেন ৷ এই জন্য পুলিশ গ্রেফতার করছে না ৷ তার জন্য বিক্ষোভ এত বাড়ছে ৷"
সন্দেশখালিতে দিনের পর দিন মহিলাদের উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ৷ এই বিষয়টি জানত না সরকার, এমনটাই দাবি করেছেন সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ৷ তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "এঁরা জানত না, তা নয় ৷ শাহাজাহানকে কে তৈরি করেছে ? শুধু শাহাজাহান নয়, শাহাজাহানের মতো বিভিন্ন জায়গায় গুন্ডা মাফিয়া তৈরি করছে শাসকদল ৷ তারা টাকা তুলে দলকে দিচ্ছে ৷ এরাই শাসকদলের সম্পদ ৷ নেতারাও তাদের সঙ্গেই থাকবেন, সরকারও তাদের সঙ্গে থাকবে ৷" তিনি আরও বলেন, "তারা যদি আয় কমিয়ে দেয়, তাহলে নেতারা জেলে চলে যাবে ৷ তৃণমূল নির্বাচনে জিততে পারবে না ৷"
আরও পড়ুন: