রায়গঞ্জ, 5 জুলাই: চোপড়া কাণ্ডের তদন্ত সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হোক ৷ এবার এমনই দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী মানস ঘোষের সমর্থনে জনসভা করেন তিনি ৷ সেখান থেকে ফেরার পথে আচমকায় চোপড়া থানার আইসি-র সঙ্গে কথা বলেন এই বিজেপি নেতা ৷
থানা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "চোপড়া এখন ন্যাশনাল না, ইন্টারন্যাশনাল হয়ে গিয়েছে। এখানে খাপ পঞ্চায়েত হয়েছে । চোপড়ায় যা ঘটেছে, বাঙালি ভারতীয় হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে । কোচবিহারের চোপড়ার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আজ আমি মুখ্য সচিব মিস্টার গোপালিকাকে চিঠি লিখেছি ৷ এই কাণ্ডের সঙ্গে যেসব পুলিশ আধিকারিক যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক ৷ তা না তাহলে আমরা আইনি পথে যাব।"
এরই সঙ্গে শুভেন্দু বলেন, "আমরা আচমকা এসেছি বলে আইসি-র সঙ্গে দেখা হল ৷ আগের থেকে জানা থাকলে আইসি পালিয়ে যেত । আমি যা বলেছি আইসি শুধু শুনেই গেলেন, কিছু বলতে পারলেন না ।" এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে থানা উপস্থিত হন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ, বিধায়ক দীপক বর্মন, চিন্ময় দেব বর্মন-সহ অন্যান্য বিধায়করা । তাঁদের সঙ্গে নিয়ে শুভেন্দুর অভিযোগ, "আমার কাছে প্রমাণ আছে, চোপড়ায় যেদিন আসার কথা ছিল, তার আগের দিনই বিডিও এবং থানার আইসি-র সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের বিধায়ক হামিদুল রহমান ৷ এর আগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিএসপি ও এসডিপিও এঁরাও হামিদুলের বাড়িতে গিয়েছিলেন ৷"
বিজেপি নেতা আরও অভিযোগ করেন, "গত 8-10 বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিত্বে পুলিশের সরাসরি প্রশ্রয়ে একটা জঙ্গলের রাজ চলছে ৷ আমাদের মনে হচ্ছে চোপড়াটা ভারতের বাইরে ৷" পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "একটা লোকের বিরুদ্ধে 12টি অভিযোগ রয়েছে ৷ তার মধ্যে 3টি খুনের অভিযোগ রয়েছে । এখানে সবার উপরেই অত্যাচার চালিয়েছে এই তাজিমুল ওরফে জেসিবি ৷"