সল্টলেক, 30 অগস্ট: বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য মহিলা কমিশনে অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেক ৷ সিটি সেন্টার ওয়ানের সামনে মহিলা কমিশনের অফিসের বাইরেই আটকে দেওয়া হয় বিজেপির মিছিল ৷ যার জেরে পুলিশ এবং বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যদের মধ্যে ধস্তাধ্বস্তি শুরু হয়ে যায় ৷ অন্যদিকে, বিজেপির কর্মীদের ধরতে এদিন মেট্রো স্টেশনে ঢুকে পড়তে দেখা যায় বিধাননগর কমিশনারেটের বাহিনীকে ৷
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আরজি কর-কাণ্ডে করুণাময়ী থেকে সল্টলেক সিটি সেন্টার পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি মহিলা মোর্চা ৷ সেখানে রাজ্য মহিলা কমিশনের দফতর ঘেরাও ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল ৷ সিটি সেন্টারে কমিশনের দফতরের বাইরেই লকেট চট্টোপাধ্যায়, ফাল্গুনী পাত্র, দেবশ্রী চৌধুরী এবং অগ্নিমিত্রা পালদের আটকে দেয় বিধাননগর কমিশনারেটের প্রমিলা বাহিনী ৷ মহিলা পুলিশ ও ব়্যাফের সঙ্গে এরপর হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিজেপি নেত্রী এবং মহিলা মোর্চার বাকি সদস্যদের ৷ পুলিশি বাধা পেরিয়ে রাজ্য মহিলা কমিশনের ভিতরে ঢুকতে না-পেরে, গেটের বাইরেই বসে পড়েন সকলে ৷
সেখানেই আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্য সরকার এবং মহিলা কমিশনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যরা ৷ এরপর লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, ফাল্গুনী পাত্র, দেবশ্রী চৌধুরী-সহ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে মহিলা কমিশনের মেন গেটের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয় ৷ মেন গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে রাজ্য মহিলা কমিশনে প্রতীকী তালা লাগান তাঁরা ৷ অভিযোগ, আরজি কর-কাণ্ডে যখন দেশ জুড়ে প্রতিবাদের স্বর চড়ছে, তখন রাজ্যের মহিলা কমিশনের সদস্যরা মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন ৷ তাঁদের তরফে কোনও বিবৃতি এবং পদক্ষেপ করা হয়নি ৷
অন্যদিক, পদ্ম শিবিরের এই কর্মসূচিকে ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধ্বস্তি হয় ৷ বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল করে যখন বিজেপির মহিলা সদস্যরা করুণাময়ী মোড়ে জমায়েত করছিলেন, তখন মাঝ রাস্তায় পুলিশের তরফে তাঁদের পথ আটকানো হয় ৷ লকেট চট্টপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরীদের মাঝ রাস্তায় আটকও করে পুলিশ ৷ পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷
অন্যদিক, ফের পুলিশকে দেখা গেল মেট্রো রেলের এলাকায় ঢুকে পড়তে ৷ বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে সিঁড়ি দিয়ে উঠে মেট্রো স্টেশনের ভিতরে ঢুকে যায় বিধাননগর কমিশনারেটের বাহিনী ৷ এমনকি মেট্রোর স্মার্ট গেট টপকে প্ল্যাটফর্মেও ঢুকে পড়ে পুলিশ ৷