সন্দেশখালি, 1 জুন: ভোটের আগের রাতেই অশান্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি ৷ তবে সকালে ভোটের শুরুতে তেমন কোনও অশান্তির খবর আসেনি ৷ আর শনিবার সকালে ভোট পরিদর্শনে বেরিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র বলেন, "জীবনে আমি নিজে প্রথম ভোট দেব সন্দেশখালিতে ৷ সন্দেশখালির মা-বোনরাও প্রথম ভোট দেবে সকালে ৷" এরপর এদিন সকালে ভোট দেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র ৷
যদিও ভোটের আগের রাতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। পুলিশের ছদ্মবেশে গ্রামে ঢুকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। উঠেছে সন্ত্রাসের অভিযোগও। যার জেরে বাঁশ, লাঠি হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন গ্রামের মহিলারা। এমনকী, তৃণমূলের সন্ত্রাস ঠেকাতে রাত জেগে পাহারাও দেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি বেড়মজুরের কাঠপোল এলাকার। যদিও গ্রামবাসীদের অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ। উলটে পুলিশের দাবি, রাতে এলাকায় টহল দেওয়ার সময় বিজেপি সমর্থিত কয়েকজন গ্রামবাসী দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে মারধর করে পালিয়ে যায়। সেই খবর পেয়ে পুলিশের বিশাল বাহিনী যখন অভিযুক্তদের ধরতে গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করে তখন তাঁদের বাঁধা দিতে এগিয়ে দেওয়া হয় মহিলাদের। ফলে, বাঁধা পেয়ে পিছু হটতে হয় পুলিশকে।
আর এদিন সকালে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র বলেন, "আমরা 2011 সাল থেকে ভোট দিতে পারিনি। আজ, আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে আমরা ভোট দিতে পারব ৷" তিনি আরও বলেন, "সন্দেশখালিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা কেবল ভোট দেওয়ার জন্য ছিল না, এটি ছিল আমাদের সম্মানের জন্য ৷ তৃণমূল আমাদের আন্দোলনকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছিল কারণ সন্দেশখালিতে সবাই একত্রিত ৷ বসিরহাট আমাদের পরিবার, আমরা তাদের সঙ্গে আছি এবং আমি আশা করি তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে।"
অন্যদিকে, এদিনও চালু আছে সিবিআই ক্যাম্প। সন্দেশখলির ধামখালীর এসবিআই ব্যাংক চত্বরে গত 18 মে সিবিআই কাম্প চালু করা হয়েছিল। সন্দেশখালিতে জমি দখল সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই এই ক্যাম্প। যদিও স্থানীয়দের অনেককেই এই কাম্পে অভিযোগ জানিয়েছেন।