আসানসোল, 4 অক্টোবর: বাংলায় বিজেপির রাজনৈতিক বৃদ্ধি যত হয়েছে, ততই তারা রাজনীতির বাইরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে শাসক দল তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেছে ৷ সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল শারদ পত্রিকাও ৷ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি ৷
তাঁর দাবি, "একেবারেই না । এটা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন । এই সংগঠনে প্রচুর বামপন্থী মানুষজনও রয়েছেন । আমাদের প্রচুর সমালোচনাধর্মী লেখাও স্থান দিয়েছি প্রদেশ শারদ পত্রিকায় ।"
যে পত্রিকা আসলে তৃণমূলের মুখপত্রের শারদ সংখ্যাকে টেক্কা দিতে প্রকাশ করা হয়েছে বলে আলোচনা চলছে, সেটি তৈরি হয়েছে কালচারাল অ্যান্ড লিটারেসি ফোরাম অফ বেঙ্গলের উদ্যোগে ৷ সেই সংগঠনের সভাপতি বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি ৷ তার উপর গত বুধবার কলকাতার রোটারি সদনে এই পত্রিকার উদ্বোধনে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর । তিনি শারদ সংখ্যার উদ্বোধন করেন ৷ সেই কারণেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি পত্রিকার সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ অস্বীকার করলেও এই নিয়ে আলোচনা চলছে ৷
তবে এই পত্রিকাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে অবশ্য ছাড়েননি আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ৷ তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল তাদের পত্রিকায় নিজেদের সমালোচনা ধর্মী কোনও লেখাকে স্থান দেয় না । কিন্তু প্রদেশ পত্রিকায় আমাদের সমালোচনা ধর্মী অনেক লেখাকে আমরা স্থান দিয়েছি । এখানেই পার্থক্যটা বুঝে নেওয়া উচিত ।"
উল্লেখ্য, কালচারাল অ্যান্ড লিটারেসি ফোরাম অফ বেঙ্গল এর আগে কবিতা উৎসব করেছে রাজ্যজুড়ে । এছাড়াও আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতেও এই সংগঠনের সদস্যরা রাস্তায় নেমেছেন প্রতিবাদ করতে । এবার তারা প্রথমবার শারদ পত্রিকা প্রকাশ করল ।
পত্রিকা প্রকাশের অনুষ্ঠানে শান্তনু ঠাকুর, জিতেন্দ্র তিওয়ারি ছাড়াও বহু গুণী এবং বিশিষ্ট মানুষজন । এই শারদ পত্রিকা রাজ্যের বিভিন্ন লেখকের লেখায় সমৃদ্ধ হয়েছে । বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে বইয়ের স্টলে এই পত্রিকা পাওয়া যাবে রাজ্যজুড়ে ।