কোচবিহার, 5 জুন: লোকসভা ভোট মিটতেই কোচবিহার থেকে সন্ত্রাসের একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূল নেতাকে ধারালো অস্ত্রের কোপ ও গুলি করার অভিযোগ উঠলো বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও গুলি লাগেনি ওই যুব তৃণমূল নেতার গায়ে। বুধবার সকালে তুফানগঞ্জের ডাওয়াগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভজনপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় বন্দুক হাতে নিয়ে বিজেপি এক নেতার ভিডিয়ো ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রেজ্জাক হোসেন নামে ওই যুব নেতা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিতসাধীন। খবর পেয়ে ওই নেতাকে দেখতে হাসপাতালে যান নবনির্বাচিত সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া ও কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। তিনি বলেন, "ভোটের ফল বেরোনোর থেকেই বিজেপি বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি করছে। আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের মারধর করছে।" যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির পালটা দাবি তাদের কর্মীদের উপর হামলা করেছে তৃণমূল। তাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন । বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে বলেন, "তৃণমূলের লোকেরাই বিজেপির উপর হামলা চালিয়েছে। বিজেপির কয়েকজন আহত হয়েছেন।" খবর পেয়ে কোতয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া। এরপর বিভিন্ন এলাকা থেকে অশান্তির খবর আসতে শুরু করে। নাটাবাড়ি বিধানসভার ডাওয়াগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভালো ফল করে তৃণমূল। এমনই আবহে এদিন সকালে বিজেপি সমর্থক রফিকুল আলি ধারালো অস্ত্র নিয়ে তৃণমূল যুব বুথ সভাপতি রেজ্জাক হোসেনকে আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করলে বন্দুক উঁচিয়ে গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
সোনারপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য়কে খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার পাঁচ