ETV Bharat / state

শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়াকে 'অসংবিধানিক' বলে কটাক্ষ বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের - BENGAL OATH CONTROVERSY ROW - BENGAL OATH CONTROVERSY ROW

Agnimitra Paul: মঙ্গলবার বিধানসভায় উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়াকে অসংবিধানিক বলে কটাক্ষ বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের ৷ "বিজেপি সংবিধানকে অপমান করে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলেও তাঁর সংবিধান পশ্চিমবঙ্গে চলবে না", বললেন অগ্নিমিত্রা পল ৷

Agnimitra Paul
বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল (ফাইল ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 24, 2024, 9:08 AM IST

Updated : Jul 24, 2024, 9:55 AM IST

কলকাতা, 24 জুলাই: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শপথ নিলেন উপনির্বাচনে জয়ী দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন ৷ মঙ্গলবার তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই শপথ গ্রহণ পক্রিয়াকে অসাংবিধানিক বলে কটাক্ষ বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের ৷

এদিনের শপথ গ্রহণ নিয়ে বিজেপি নেত্রী অগ্রিমিত্রা পাল বলেন, "এর আগেও রাজ্যপাল ডক্টর সি ভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন যে রাজভবনেই বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হবে। তখন বারবার রাজ্যপালকে অপমান করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ওনার নাকি রাজভবনে যেতে ভয় লাগে। উনি কি ন্যাকামি করছেন? উনি ও তো মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজভবনেই শপথ নিয়েছিলেন। রাজ্যপাল এটাও বলেছিলেন শপথ গ্রহণ পাঠ করাবেন ডেপুটি স্পিকার ৷ মুখ্যমন্ত্রী সেটাও মানেননি ৷ বিধায়কদের শপথ গ্রহণ অসংবিধানিক ৷ তাই বিজেপি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি।"

এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, "এই শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া অসাংবিধানিক ও অনৈতিক ৷ কারণ, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের নির্দেশিকাকে অমান্য করে দুজন বিধায়কদের (রেয়াক হোসেন ও সায়ান্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়) শপথ গ্রহণ করানো হয়েছে । তবে পরের চারজন বিধায়কদের ক্ষেত্রে কোনও নির্দেশিকা দেননি রাজ্যপাল ৷ ফলে স্বাভাবিক ভাবে সংবিধানকে উপেক্ষা করে যেভাবে শপথ করানো হয়ে, তা অনৈতিক এবং অসাংবিধানিক।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিধানসভা ভাঙচুরের অভিযোগ আছে ৷ তিনি সংবিধানকে সম্মান দেবেন সেটা আশা করা যায় না।

এমনকী বিধানসভার কন্ঠরোধ করার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে বারবার সাসপেন্ড করা হয়েছে। এমনটাই দাবি করেথেন তিনি ৷ সংগঠনের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই । তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে বেশি পছন্দ করেন ৷ আর সেই প্রতিফলন হচ্ছে ৷ সংবিধানকে উপেক্ষা করা নিজের মতো রাজ্য চালানোর চেষ্টা এবং পশ্চিমবঙ্গকে একটা আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে চালাবার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী ।

এদিন কেন্দ্রীয় বাজেট প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা পল জানান, বাংলার বঞ্চনার কথা বলেই তো বামফ্রন্ট রাজ্যকে 500 বছর পিছিয়ে দিয়েছিল। আর মুখ্যমন্ত্রীও সেই পথে চলছেন। উনি বাজেটে বঞ্চনার কথা বলছেন ৷ উনি তো যুক্তরাষ্ট্র কাঠামো মানতে চান না। উনি কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন। 100 দিনের বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে কটা এফআইআর করা হয়েছে, সেটা কি মুখ্যমন্ত্রী দেখাতে পারবেন ? প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেত্রী ৷

কলকাতা, 24 জুলাই: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শপথ নিলেন উপনির্বাচনে জয়ী দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন ৷ মঙ্গলবার তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই শপথ গ্রহণ পক্রিয়াকে অসাংবিধানিক বলে কটাক্ষ বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের ৷

এদিনের শপথ গ্রহণ নিয়ে বিজেপি নেত্রী অগ্রিমিত্রা পাল বলেন, "এর আগেও রাজ্যপাল ডক্টর সি ভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন যে রাজভবনেই বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হবে। তখন বারবার রাজ্যপালকে অপমান করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ওনার নাকি রাজভবনে যেতে ভয় লাগে। উনি কি ন্যাকামি করছেন? উনি ও তো মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজভবনেই শপথ নিয়েছিলেন। রাজ্যপাল এটাও বলেছিলেন শপথ গ্রহণ পাঠ করাবেন ডেপুটি স্পিকার ৷ মুখ্যমন্ত্রী সেটাও মানেননি ৷ বিধায়কদের শপথ গ্রহণ অসংবিধানিক ৷ তাই বিজেপি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি।"

এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, "এই শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া অসাংবিধানিক ও অনৈতিক ৷ কারণ, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের নির্দেশিকাকে অমান্য করে দুজন বিধায়কদের (রেয়াক হোসেন ও সায়ান্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়) শপথ গ্রহণ করানো হয়েছে । তবে পরের চারজন বিধায়কদের ক্ষেত্রে কোনও নির্দেশিকা দেননি রাজ্যপাল ৷ ফলে স্বাভাবিক ভাবে সংবিধানকে উপেক্ষা করে যেভাবে শপথ করানো হয়ে, তা অনৈতিক এবং অসাংবিধানিক।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিধানসভা ভাঙচুরের অভিযোগ আছে ৷ তিনি সংবিধানকে সম্মান দেবেন সেটা আশা করা যায় না।

এমনকী বিধানসভার কন্ঠরোধ করার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে বারবার সাসপেন্ড করা হয়েছে। এমনটাই দাবি করেথেন তিনি ৷ সংগঠনের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই । তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে বেশি পছন্দ করেন ৷ আর সেই প্রতিফলন হচ্ছে ৷ সংবিধানকে উপেক্ষা করা নিজের মতো রাজ্য চালানোর চেষ্টা এবং পশ্চিমবঙ্গকে একটা আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে চালাবার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী ।

এদিন কেন্দ্রীয় বাজেট প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা পল জানান, বাংলার বঞ্চনার কথা বলেই তো বামফ্রন্ট রাজ্যকে 500 বছর পিছিয়ে দিয়েছিল। আর মুখ্যমন্ত্রীও সেই পথে চলছেন। উনি বাজেটে বঞ্চনার কথা বলছেন ৷ উনি তো যুক্তরাষ্ট্র কাঠামো মানতে চান না। উনি কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন। 100 দিনের বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে কটা এফআইআর করা হয়েছে, সেটা কি মুখ্যমন্ত্রী দেখাতে পারবেন ? প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেত্রী ৷

Last Updated : Jul 24, 2024, 9:55 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.