কলকাতা, 15 মে: প্রচারের মধ্যগগনে ও সপ্তম দফার মনোনয়ন পেশের ঠিক আগে কলকাতা দক্ষিণ ও বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়নে গুরুতর গলদের অভিযোগ তুলল বিজেপি ৷ তাদের মতে, এই দুই তৃণমূল প্রার্থী অর্থাৎ মালা রায় ও হাজি নুরুল ইসলামের মনোনয়ন আইন ও নির্বাচনী বিধি মেনে হয়নি ৷ সেই কারণে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীরা ওই দুই তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ৷ বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ৷
তিনি আরও জানান, বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের অভিযোগ তাঁর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম পঞ্চদশ লোকসভার সদস্য ছিলেন, যা শেষ হয়েছে 2014 সালের 18 মে ৷ হাজি নুরুল ইসলাম এবারে মনোনয়ন দাখিল করেছেন 7 মে ৷ নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী কোনও প্রার্থী শেষ 10 বছরে যদি কোনও কারণে সরকারি পরিষেবা নেওয়া কোনও বিল বাকি থাকে তাহলে তা মিটিয়ে দিতে হয় ৷ তাঁর যে সরকারের কাছে কোনও বকেয়া নেই, তা হলফনামায় জানিয়ে দিতে হয় ৷ কিন্তু হাজি নুরুল ইসলামের হলফমানায় দেখা গিয়েছে, তিনি নো ডিউ সার্টিফিকেট জমা দেননি ৷ সেই কারণে রেখা পাত্র নির্বাচন কমিশনের কাছে বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি তুলেছেন ৷
এদিন জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় আরও বলেন, "এই নো ডিউ সার্টিফিকেট দেখাতে না পারার জন্য বীরভূমে আমাদের প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছিল ৷ আমাদের দাবি, নিয়ম মতো যেহেতু হাজি নুরুল ইসলাম নো ডিউ সার্টিফিকেট জমা দেননি, তাই আমরা ওখানকার নির্বাচনী আধিকারিক ও নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়নও বাতিল করতে হবে ৷ ঠিক যে ভাবে আমাদের একজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল ৷"
কলকাতা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, "কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় বর্তমানে কলকাতা পৌরনিগমের চেয়ারপার্সন ৷ আইন অনুযায়ী, কলকাতা কর্পোরেশনের চেয়ারপার্সনের পদ থেকে পদত্যাগ না করে যদি দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন, তাহলে অফিস অফ প্রফিটের যে আইন, তা তিনি লঙ্ঘন করেছেন ৷ সেই কারণে আমাদের দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের আবেদন করেছেন ৷"
আরও পড়ুন :