আলিপুরদুয়ার, 24 অক্টোবর: জয়গাঁওতে ধর্ষণ-খুনে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিজেপির প্রতিনিধি দলকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে । সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা ও কালচিনির বিধায়ক ৷
বুধবার ভারত-ভুটান সীমান্ত লগোয়া জয়গাঁও শহরে নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা ৷ তাঁদের জয়গাঁও-এর জিএসটি মোড়ে আটকে দেয় আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ । অবশেষে বাধ্য হয়েই ফিরে যেতে হয় বিজেপির এই প্রতিনিধি দলকে ।
রাজু বিস্তা অভিযোগ করেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসনের অতি-সক্রিয়তায় আমরা কেউ নির্যাতিতা পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারলাম না । পুলিশ-প্রশাসনের এই অতি-সক্রিয়তায় আমরা বারবার এরকম বাধার মুখে পড়ে থাকি । মুখ্যমন্ত্রী সব সময় অপরাধীদের পাশে দাঁড়ান । আমার মনে হয় না মুখ্যমন্ত্রীর সময়কালে এই ধরনের ঘটনা থামবে ৷ বরং আরও বেড়ে যাবে ।’’
উল্লেখ্য, দিন-আটেক আগে মোমো-চাউমিন খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী এলাকার একটি বাড়ি থেকে বছর সাতেকের এক নাবালিকাকে নিয়ে যান ওই এলাকার বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি বাবলু মিয়াঁ । আর তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা ।
পরবর্তীতে আত্মীয়-স্বজন এবং স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও ওই নাবালিকার কোনও খোঁজ পান না । জয়গাঁও থানায় অভিযোগ করেন পরিবারের লোকেরা । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে আলিপুরদুয়ার জয়গাঁও থানার পুলিশ । আলিপুরদুয়ার জেলার সীমান্তবর্তী শহর জয়গাঁও গুয়াবাড়িতলা বস্তি এলাকার পরিত্যক্ত এক জমির ঝোপ থেকে ওই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ মঙ্গলবার দেহ উদ্ধার হয় ৷
এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাবলু মিয়াঁ-সহ তিনজনকে নেপাল বর্ডার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ । তিনজনই পুলিশি হেফাজতে রয়েছে ।