বারাসত, 25 এপ্রিল: ভোট বড় বালাই! আর তার থেকে যেন বাদ যাচ্ছেন না স্কুলের কচিকাঁচারাও। এবার সেই ঘটনারই সাক্ষী থাকল বারাসত। ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নির্বাচনী প্রচার। তাঁর প্রচারে এবার স্কুলের পোষাকে পড়ুয়াদের সামিল করানোর অভিযোগ উঠল। যা ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, নির্বাচন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ভোট প্রচারে স্কুল পোশাকে কচিকাঁচা পড়ুয়াদের নিয়ে আসা হল! তাহলে কী পড়ুয়ারাও ক্রমশ রাজনীতিবিদদের ভোটের 'অস্ত্র' হয়ে উঠছেন? নাকি এটা রাজনৈতিক কৌশলের আঙ্গিক মাত্র? এমনই সব প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
তবে, যাই হোক না কেন এনিয়ে অবশ্য সুর চড়িয়েছে বিরোধী শিবির। বিজেপি তো এককদম এগিয়ে বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। যদিও, অভিযোগ উড়িয়ে পালটা যুক্তি খাড়া করার চেষ্টা করেছে। আর এই ঘটনাকে ঘিরে ভোটের উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে জেলার সদর শহর বারাসতে।
কাকলির যে নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বারাসতে, সেটি একদিন আগের। এনিয়ে সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পকে হাতিয়ার করে তুলে ধরা হয়েছে নির্বাচনী প্রচারে। সুসজ্জিত এই সমস্ত ট্যাবলোর কোনওটায় স্থান পেয়েছে সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প। আবার কোনওটায় রয়েছে রূপশ্রী, কন্যাশ্রী এবং যুবশ্রীর মতো প্রকল্পও। তবে, বিতর্ক দানা বেঁধেছে যে ট্যাবলোকে ঘিরে সেটি কন্যাশ্রী প্রকল্পের। সেখানে সরকারের এই প্রকল্পকে তুলে ধরতে ব্যবহার করা হয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের। তাও আবার স্কুল 'ড্রেস'-এ!
এই ইস্যুতে শাসকদলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। এই বিষয়ে বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার বলেন, "এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। উনি দশ হাতে যে দশ উন্নয়ন নিয়ে ফ্লেক্সের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সেগুলো সবকটিই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প। আমি এনিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাব।" একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএমের জেলা নেতা আহমেদ আলি খানের গলাতেও। তাঁর কথায়, "ভোটের জন্য শাসকদল সবকিছুই করতে পারে। রাজনৈতিক স্বার্থের চেয়ে তৃণমূলের কাছে এখন কোনও কিছুই বড় নয়! এদের রুচিতে বাঁধে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"
অন্যদিকে, এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেননি জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সুনীল মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, "কন্যাশ্রীর ট্যাবলো ছিল ঠিকই।তবে, তাতে স্কুলের পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করেননি। বিরোধীদের পায়ের তলার মাটি নেই। সেজন্য যা খুশি তাই বলছে।"
আরও পড়ুন: