গোঘাট, 28 ফেব্রুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ভাবাদিঘিতে রেললাইন তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷ প্রায় এক যুগ কেটে গেলেও এখনও বন্ধ এই রেললাইন নির্মাণের কাজ ৷ এর ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে ৷ এই রেল লাইনের শুরু না হওয়ার কারণ জমি জট বলেই মনে করেছেন স্থানীয়রা ৷
প্রশ্ন হল কেন এই জট ?
এলাকাবাসীর দাবি, আরামবাগ থেকে কামারপুকুর হয়ে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেলপথ তৈরি কাজ শুরু হয়েছিল ৷ রেলের নকশা অনুযায়ী দিঘির উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয় রেললাইনটি । আর এরপরই বিরোধীতায় নামেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা ৷ দিঘি ভরাট করে লাইন তৈরির বিরোধিতা করেন ৷ তাঁদের দাবি, এই দিঘি তাদের রুজিরুটি ও পানীয় জলের একমাত্র উৎস । এরপরই দিঘি বাঁচাও কমিটি আদালতের দ্বারস্থ হয় দিঘি বাঁচিয়ে রেল পথ নিরর্মাণের দাবিতে ৷ সেই থেকে এতদিনেও ভাবাদিঘির রেলপথের জট কাটেনি।
রাজনৈতিক জট:
দিঘি বাঁচিয়ে রেলপথ নির্মাণকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার ও রেলের বিরুদ্ধে সংঘাত চরমে উঠেছিল। তা নিয়ে তৎকালীন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয় । বিষয়টি নিয়ে মামলা একাধিক মামলা হয় ৷ ফলে আটকে পড়ে আরামবাগ থেকে বিষ্ণুপুর রেল যোগাযোগের কাজ । দীর্ঘ 10 বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও, রেলপথ নির্মানের কাজ এখনও শুরু হয়নি । ফলে, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর-সহ আরামবাগ তারকেশ্বরের যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিতই রয়ে গিয়েছেন এলাকাবাসী ৷
এই প্রসঙ্গেই গোঘাটের বিজেপি নেত্রী দোলন দাস বলেন, "ভাবাদিঘি রেলপথের সমস্যা তৃণমূলের তৈরি করা। তার ফল ভুগতে হচ্ছে রাজ্যের মানুষকে । শাসক দল সমস্যা মেটানোর সঠিক উদ্যোগই নেয়নি। তবে বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে দ্রুত সমস্যা মেটানো হবে ৷" আরামবাগের সাংসদ অপরুপা পোদ্দারের পালটা দাবি, ভাবাদিঘি রেলপ্রকল্পকে হাতিয়ার করে বিজেপি সাধারণ মানুষের উন্নয়ন আটকে রেখেছে। ধর্মীয় স্থানগুলি সংযুক্ত করার জন্য যে রেলপ্রকল্প করতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তা বন্ধ করে দিচ্ছে বিজেপি ৷ তবে ভাবাদিঘির এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করবেন বলেই জানিয়েছেন ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির সম্পাদক সুকুমার রায়।
আরও পড়ুন: