কলকাতা, 1 ডিসেম্বর: 'মিশন 2026' নিয়ে এগোতে চাইছে প্রদেশ কংগ্রেস ৷ অর্থাৎ, রাজ্যের আগামী বিধানসভায নির্বাচনে একক শক্তিতে লড়াই করাই এখন মূল লক্ষ্য প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের ৷ সেই উদ্দেশ্যে নীল নকশা তৈরি হল শনি ও রবিবার দু’দিনের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির বৈঠকে ৷
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্ব ছাড়াও, কংগ্রেসের সকল সংগঠনের নেতারা ৷ বৈঠকের নেতৃত্ব দেন এ রাজ্যে কংগ্রেসের পরিদর্শক তথা কাশ্মীর বিধানসভা নির্বচনে সদ্য জয়ী বিধায়ক গোলাম আহমদ মীর ৷ ছিলেন আসাফ আলি খান এবং অম্বা প্রসাদ ৷
কয়েকমাস আগেই অধীর চৌধুরীর জায়গায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে দায়িত্ব নেন শুভেঙ্কর সরকার ৷ তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সখ্যতা থাকায়, জল্পনা তৈরি হয়েছিল এবার বামেদের সঙ্গ ত্যাগ করে কি জোড়াফুল ধরব হাত ! সেই জল্পনায় কিছুটা হ্রাস টানল প্রদেশ নেতৃত্ব ৷ আপাতত লক্ষ্য 2026 বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে, প্রতিটি জেলা ও বিধানসভা কেন্দ্রে সংগঠনকে মজবুত করা ৷
নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে এমনটাই জানালেন পরিদর্শক গোলাম আহমদ মীর ৷ তাঁর বিশ্বাস, আগামী 1 বছরের মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেসের সংগঠন এ রাজ্যে যথেষ্ঠ মজবুত হবে ৷ আর 2026 বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা একক শক্তিতে লড়ার মতো সংগঠন পুনরায় বাংলার মাটিতে গড়ে তুলতে পারবেন ৷
এই বৈঠক থেকে কংগ্রেসের দিল্লির নেতারা বোঝার চেষ্টা করেন, প্রদেশের নেতারা কী ভাবছেন ৷ কোন পথে যেতে চাইছেন তাঁরা ৷ সেখান থেকেই জোটকে দূরে রেখে, আপাতত এককভাবে সংগঠন মজবুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস ৷ আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৈরি হয়েছে 'মিশন 2026' ৷ সিদ্ধান্ত হয়েছে 294টি বিধানসভা আসনে এককভাবে লড়ার মতো মজবুত করতে হবে সংগঠনকে ৷
এ দিন মীর বলেন, "প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে একটি এক্সপার্ট টিম গঠন করা হবে ৷ যারা প্রতি বিধানসভা এলাকায় মানুষের সঙ্গ কথা বলবে ৷ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কোন কোন কাজে মানুষ খুশি বা অখুশি, সেই রিপোর্ট প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের কাছে জমা পড়বে ৷ এর মধ্যেই প্রতিটি জেলা, ব্লক ও ওয়ার্ড স্তরে সাংগঠনিক বৈঠক হবে ৷ জনগণের সঙ্গে লাগাতার কথা বলে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরা হবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ইশতেহার ৷"